ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চলমান ডিউটি ফাঁকি দিয়ে বাহিরে প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে রোগী দেখেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সোহেল রানা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শনিবার ২৭ মে ২০২৩ বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সোহেল রানার ডিউটি ছিলো হাসপাতালের জরুরী বিভাগে। কিন্তু সোহেল রানা বেলা ২টায় হাসপাতালের ডিউটি রেজিষ্ট্রারে স্বাক্ষর করেই ডিউটি ফাঁকি দিয়ে চলে যান পৌর সদরের ব্রীজ সংলগ্ন ফয়সাল মেডিসিন কর্ণারে নিজস্ব চেম্বারে। ওই সময় সরেজমিন গিয়ে তাকে ওই চেম্বারে জিসান (৪ মাস) নামের এক শিশু রোগীর প্রেসক্রিপশন করতে দেখা যায়। প্রেসক্রিপশনে তার নামের আগে ডা: মো: সোহেল রানা এমনকি তিনি মেডিসিন, চর্ম, যৌন, মা ও শিশু এবং মানসিক রোগের বিশেষ অভিজ্ঞ বলে উল্লেখ রয়েছে দেখা যায়। ওই সময় তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সোহেল রানা জানান হাসপাতালে তার ডিউটি দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তিনি দুধ কিনতে বাজারে এসেছিলেন এমন সময় একজন গরীব রোগী তাকে অনুরোধ করলে তিনি চেম্বারে বসে তার প্রেসক্রিপশন করে দেন। এখানে আপনার প্রেসক্রিপশন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মাঝে মাঝে এখানে বসে রোগী দেখি তাই। এসময় সাংবাদিকদের হাতে ধরে আর এমন হবে না বলে অনুরোধ করেন। কিন্তু শিশু জিসানের মা রোজিনা আক্তার বলেন আমার বাচ্চা অসুস্থ্য তাই চিকিৎসার জন্য ২শত টাকা দিয়ে ডাক্তার সোহেল রানা কে দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন করিয়েছেন। পরবর্তীতে হাসপাতালে জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখা যায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনি ডিউটিতে ছিলেন না। এ সময় জরুরী বিভাগে উপস্থিত চিকিৎসক ডা. সাকিবের কাছে সোহেল রানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সোহেল খেতে গেছেন। ওই সময় হাসপাতালে সাংবাদিক গেছে এমন খবর শুনে দ্রুত হাসপাতালে উপস্থিত হন সোহেল রানা। তখন তিনি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো: জাহিদুল হক বলেন, ডিউটিরত অবস্থায় বাহিরে চেম্বার করা অন্যায়। তাছাড়া তার প্রেসক্রিপশনের মধ্য ডা: শব্দটি লিখতে পারেন না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লোপা চৌধুরী বলেন ডিউটি চলমান অবস্থায় বাহিরে চেম্বার করার কোন নিয়ম নেই। যদি করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষ তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।