বরিশাল সিটি নির্বাচন
আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পোস্টারে ঢেকে গেছে পুরো নগরীর অলিগলি। পাশাপাশি এবার সাতজন মেয়র প্রার্থী, ১১৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৪২ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও মিছিলে মিছিলে একধরনের নির্বাচনী উৎসব শুরু হয়েছে পুরো নগরীতে। প্রকাশ্যে সিটি নির্বাচনে (বিসিসি) অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। নিজেদের জন্য দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি বিজয়ের লক্ষ্যে ভোটও চাইছেন। তবে শুধু যে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এমনটা নয়, প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব রয়েছেন। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টারের ছবি। যা অনেক ক্ষেত্রে প্রার্থী নিজে, আবার কর্মী-সমর্থকরাও শেয়ার কছেন। ক্যাপশনে তারা ভোট চাওয়ার পাশাপাশি নিজের জন্য জনগণের কাছে দোয়া চাচ্ছেন। প্রার্থীরা বলছেন, হালের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়েই ডিজিটাল মাধ্যমগুলোয় তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিছু মানুষ আছে এখান থেকেও দেখে দোয়া করে, আবার অনেকের ভোটের কথাও মনে পড়ে যায়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ও নির্বাচন বিশ্লেষক মো. সোহেল রানা বলেন, ‘প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহার না বলে রাজনীতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়টিকে এভাবে নিতে পারলে ভালো হয়। ভোটের রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার সময়কাল সীমিত, কিন্তু পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ পুরো মেয়াদ বা তারও অধিক সময় ধরে চলতে থাকে। প্রার্থীরা প্রযুক্তির ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্যটি বুঝতে পারলেই সেটি সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে প্রযুক্তি হলো সবচেয়ে আধুনিক ও সহজলভ্য মাধ্যম। এক্ষেত্রে প্রার্থীর ভূমিকাই মূখ্য। কতটা আন্তরিকতায় তিনি তার উন্নয়ন পরিকল্পনা জনগণকে অবহিত করবেন সেটি একান্তই তার ওপর নির্ভর করে। তবে মনে রাখতে হবে, শাসন প্রক্রিয়া যত অংশগ্রহণমূলক, ততই তা মঙ্গলজনক। সুশাসন প্রতিষ্ঠার যতগুলো শর্ত রয়েছে, প্রযুক্তির ব্যবহার তার প্রায় প্রত্যেকটি নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে। এদিকে প্রতিদিন দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে চলছে মাইকিং। এক প্রার্থীর প্রচার গাড়ি যেতে না যেতেই হাজির হচ্ছে আরেক প্রার্থীর প্রচার মাইক। দিন-রাত সমান তালে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, পোস্টার-ব্যানার প্রার্থীদের পরিচয় যেমন তুলে ধরছে। তেমনি নগরজুড়ে নির্বাচনের অবয়ব সৃষ্টি করেছে। নগরবাসী জানিয়েছেন, ২৬ মে বেলা ১১টার পর থেকেই প্রধান সড়কসহ প্রতিটি অলিগলিতে পোস্টার-ব্যানার লাগানো শুরু হয়। এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে ছিলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী। তার অনুসারীরা প্রতীক বরাদ্দের পর পরই নগরজুড়ে পোস্টার সাটিয়েছেন। তবে ওইদিন সন্ধ্যার মধ্যেই সকল প্রার্থীর ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। আর একদিনের মধ্যে পোস্টারের নগরীতে পরিণত হয়েছে বরিশাল শহর। সরেজমিনে দেখা গেছে, দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির লাঙল মার্কার ইকবাল হোসেন তাপস এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানার সবার দৃষ্টি কাড়লেও জাকের পার্টির মো. মিজানুর রহমানের গোলাপ ফুল মার্কার পোস্টার এখনও চোখে পড়ছে না। পাশাপাশি টেবিল ঘড়ি মার্কার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রূপন এবং হরিণ প্রতীকের মো. আলী হোসেন হাওলাদারের পোস্টার-ব্যানার দেখা গেলেও হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করা মো. আসাদুজ্জামানের পোস্টার দেখা যাচ্ছেনা। সিটি করপোরেশনের ভোটাররা বলছেন, পোস্টারে থাকা অনেকে প্রার্থীই ভোটারদের কাছে অপরিচিত। ছবিতেই তাদের প্রথম দেখা যাচ্ছে। তবে পোস্টার-ব্যানার নয়; যোগ্য প্রার্থী দেখেই এবার তারা ভোট দিবেন।
ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইবো ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় টিমের সমন্ময়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আগামী ১ জুনের বর্ধিত সভার পর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে আমরা নৌকার প্রার্থীর বিজয়ের লক্ষ্যে মাঠে কাজ শুরু করবো। যেখানে কেন্দ্রীয় নেতারাও থাকবেন। ওইসময় আমরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইবো। তিনি আরও বলেন, আমরা একট্টা হয়ে আন্তরিকভাবে, নিবেদিত হয়ে, নিজের খেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবো। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, খোকন সেরনিয়াবাত একজন ভালো মানুষ, সজ্জন ব্যক্তি, ভদ্রলোক। তার প্রতি বরিশালবাসীর ভালোবাসা রয়েছে। সেই ভালোবাসাও আমাদের বিজয়ের লক্ষ্যে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই, দ্বিধাদ্বন্ধ নেই। বাস্তব সত্যটা আমরা প্রমাণ করবো নৌকার বিজয়ের মধ্যদিয়ে।
পরিষেবা বৃদ্ধি করা হবে ॥ আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে উন্নয়নের পক্ষে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করা হলে বিসিসি’র পরিষেবা বৃদ্ধি করা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন, আমি মেয়র হিসেবে নয়; জীবনের শেষ বয়সে এসে নগরবাসীর খেদমত করতে চাই। তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা। এটা মানুষের কল্যাণে কাজ করে। অথচ বরিশাল সিটির রাস্তা, ড্রেনেজ, পানি ও মশার সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বরিশালবাসীর ভাগোন্নয়নের জন্য আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমাকে আপনারা মেয়র নির্বাচিত করলে এসব সমস্যার সমাধান হবে। সিটি কর্পোরেশনের পরিষেবা বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি সারাদেশের উন্নয়নে বরিশালকে সামিল করতে ভোটারদের প্রতি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান করেন। নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে ভোটারদের উদ্দেশ্যে নৌকার প্রার্থী এসব কথা বলেন। এসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অসীম দেওয়ান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মঈন তুষার উপস্থিত ছিলেন।
ওদের মিথ্যা কথা বিশ্বাস করবেন না ॥ জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল মার্কার মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেছেন, ওনারা বিশিষ্ট ভদ্রলোক। মুখে বলে এক কথা, কাজে অন্য কথা। আপনারা দেখুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা প্রথমে নৌকার পক্ষে কথা বলেন। পরে ভোটে যখন ঘড়ি মার্কা নিয়ে জনগনের বিপুল ভোটে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন তখন বলেন, নৌকার বিজয় হয়েছে; ব্যক্তির পরাজয় হয়েছে। আমরা একই দৃশ্য বরিশালের ভোটে দেখতে পাচ্ছি। চাচা তার ভাতিজার বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে বক্তব্য রাখছেন, আর বিজয়ী হলে চাচা-ভাতিজা মিলেই কিন্তু নগর চালাবেন। অক্সফোর্ড মিশন রোড, বটতলা বাজার, ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় গণসংযোগ কালে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন লাঙল মার্কার প্রার্থী তাপস।
মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে ॥ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বরিশালের মানুষ মশার উপদ্রবে অতিষ্ট। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে ডেঙ্গুসহ মশকবাহী আরো অন্যান্য রোগের ঘাণি টানছে নগরবাসী। নগরীর সবধরণের ট্যাক্স প্রদানের পরেও মৌলিক সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করতে না পারায় নগর কর্তৃপক্ষের ওপর সন্তুষ্ট নন নগরবাসী। বিশেষ করে বর্ধিত এলাকায় পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা না থাকা সত্বেও সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত ট্যাক্সের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। নগরবাসী আমার ওপর আস্থা রেখে হাতপাখা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে মশক সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। রবিবার দুপুরে নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকায় গণসংযোগকালে এসব কথা বলেছেন হাতপাখা মার্কার প্রার্থী। বিকেলে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সোনালী আইসক্রীম মোড়, ইসলামীয়া কলেজ, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আবহাওয়া অফিস ও কলোনী, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী মাদরাসা এলাকা, সাগরদী বাজার এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পোর্ট রোড এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
সাধারন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে যে প্রতীকে বেশি আস্থা ॥ প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে বরিশাল সিটি নির্বাচন। প্রতিটি ওয়ার্ডে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীকের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ভোটাররা। এবার যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের মধ্যে অতীতে অনেকেই জয়-পরাজয় দেখেছেন। ফলে অনেক প্রার্থী আগের প্রতীকেই খুশি। কেউ আবার চেয়েছেন নতুন প্রতীক। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল ঠেলাগাড়ির। ২৭ জন প্রার্থী তাদের মার্কা হিসেবে ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়েছেন। ঘুড়ির চাহিদাও ছিল অনেক। ২৬ জন প্রার্থী ঘুড়ি প্রতীক নিয়েছেন। প্রতীক হিসেবে লাটিম নিয়েছেন ২১ জনে। টিফিন ক্যারিয়ার ১৪, রেডিও ১১, ট্রাক্টর ছয়জন, মিষ্টি কুমড়া চারজন, কাটা চামচ তিনজন, ব্যাডমিন্টন র্যাকেট দুইজন এবং ঝুড়ি প্রতীক নিয়েছেন একজন প্রার্থী। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে আনারস ও বই প্রতীকে সর্বোচ্চ ১০ জন করে ২০ জন আস্থা রেখেছেন। এছাড়া আটজনে চশমা, চারজন হেলিকপ্টার, চারজন মোবাইল ফোন, দুইজন ডলফিন, দুইজন জিপগাড়ি ও একজন গ্লাস প্রতীকে আস্থা রেখেছেন। সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, নির্বাচনের মাঠে সাতজন মেয়র প্রার্থী, ১১৬ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে শুধুমাত্র ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় মো. রফিকুল ইসলাম খোকন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। সূত্রমতে, নগরীর ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবেন বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম। ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সুব্রত বিশ্বাস দাস। ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কামরুন্নাহার তামান্না। ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মহিন উদ্দিন। ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আবু আব্দুল্লাহ খান। ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রয়া ত্রিপুরা। ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে দেবযানী কর। ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে অংমাচিং মারমা। ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মুশফিকুর রহমান। ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে জাবেদ হোসেন চৌধুরী। বহিরাগতদের নির্বাচনী কাজের অনুমতি দেওয়া হবেনা জানিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে চেকপোস্ট বসিয়েছি। সেখান থেকে বেশ কিছু যানবাহন আটক করেছি। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে চেকপোস্টের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা মাস্তানি করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন ১২৬টি ভোট কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৫৮ বর্গকিলোমিটার নগরীতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে সাতজন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন।