সমাজের হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত, শ্রমজীবী শিশু-কিশোরদের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ইসলামপুর পৌর শহরের পূর্ব ভেঙ্গুরা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩৮ জন। বিদ্যালয়টিতে পাঁচ জন শিক্ষক ও একজন দফতরি কর্মরত। গত ১৬ মে রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বিদ্যালয়টির পুরো ঘর। যার ফলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তাঁবু টানিয়ে।বিদ্যালয়টির এমন বেহাল অবস্থায় একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে চরম বিপাকে রয়েছে স্কুল কতৃপক্ষ। শিক্ষক- শিক্ষার্থীরাও জানালেন তাদের দুর্ভোগের কথা। শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৫ এর প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল হাসান জানান, গত ১৬ তারিখ ঝড়ে আমাদের ভবনটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমরা ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে গরম ও বৃষ্টিতে চরম বিপাকে রয়েছি। আমরা তাবু টানিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নিচ্ছি। সরকারের কাছে আকুল আবেদন যেন দ্রুত একটি ভবন নির্মাণ করে দেয় হয়। ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফেরদৌস জানান, ঝড়ে স্কুলটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নীচে স্কুলটির ক্লাস ও পরীক্ষা চলছে। ইতিমধ্যে ইউ এন ও মহোদয় স্কুলটিতে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মন্ত্রানালয়ে জানানো হয়েছে। ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুঃ তানভীর হাসান রুমান জানান, সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন বিধ্বস্ত হবার তথ্য পাবার সাথে সাথেই তাদেরকে ঢেউটিন এবং আর্থিক সাহায্য দিয়েছি এবং তাদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। সেখান থেকে যদি কোন সাহায্য বা অনুদান পাওয়া যায় সেটি আমরা যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছে দেবার চেষ্টা করব। মুঃ তানভীর হাসান রুমন, ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। ভিওঃ দ্রুত বিদ্যালয়টি সংস্কারের মাধ্যমে পুনরায় আবার সচল হবে শিক্ষা কার্যক্রম এমনটাই প্রত্যাশা ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।