সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ জুড়ে এখন সবুজ ধানের সমারোহ। যে দিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ ধানের ক্ষেত। চলনবিল অঞ্চলের কৃষিভান্ডার হিসেবে খ্যাত এই শাহজাদপুর উপজেলার প্রধান কৃষিপন্য ধান। তাই এ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। দিগন্ত জুড়ে নজর কাড়ছে বোরো ফসলের ক্ষেত। বাতাসের তালে তালে দোল খাচ্ছে সবুজ ধানের পাতা। কৃষকরা ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা সার প্রয়োগ করে । শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারের লক্ষমাত্রা অতীতকে ছাড়িয়ে যাবে। মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের অধিক ফলন উৎপাদনের লক্ষে বোরো ক্ষেতে পার্সিং স্থাপন করা সহ নানা রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর শাহজাদপুর উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এখন ধানের দাম ভাল থাকায় কৃষকরা এ বছর ধান চাষের দিকে বেশি ঝুঁকে পরেছে। উপজেলার ডায়া গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, কোন রকম প্রাকৃতিক দূর্যোগ না আসলে এ বছর গত বছরের তুলনায় ধানের বাম্পার ফলন হবে। এদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশব্যাপী লোকডাউনের কারণে কৃষকগণ ধান পরিচর্যায় বেকার-যুবকদের শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাথে যুক্ত কৃষকগণ এই সময়টা ইরি-বোরো ক্ষেত দেখাশুনা ও পরিচর্যা করতে পারছেন। লকডাউনের প্রভাবে পরিবহন বন্ধ থাকলেও জ্বালানী তেল ও সার সংকট নেই বলেও জানিয়েছেন কৃষকেরা। এ ব্যাপারে বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের যমুনা অয়েল কোম্পানীর ডিপো ম্যানেজার জাহিদ সারোয়ার জানান, বাঘাবাড়ী বন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকলেও ডিপোতে পর্যাপ্ত তেল মজুদ আছে। যা দিয়ে ইরি-বোরো চাষাবাদ পাড়ি দেয়া যাবে।
ই-খ/খবরপত্র