শায়খ মুহাম্মদ সালিহ আল-উসায়মিন মুসলিম বিশ্বের অত্যন্ত মর্যাদাবান আলিম, ফকিহ ও ইসলামী চিন্তাবিদ। তাকে আধুনিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফকিহ বলে বিবেচনা করা হয়। দাওয়াহ, ফিকহ ও ইসলামী জ্ঞান বিষয়ে তার গভীর মনীষা, সূক্ষ্ম অনুসন্ধিৎসা ও সৃজনশীল মানস তাকে খ্যাতি ও সম্মানের শীর্ষে নিয়ে গেছে। সারা দুনিয়া বিশেষত আরবের সর্বস্তরের জনগণ যাদের শরয়ি ফয়সালা ও ফতোয়াকে নির্দ্বিধায় মান্য করেন তাদের মধ্যে শায়খ আবদুল আযিয ইবন বায ও শায়খ মুহাম্মদ আল-উসায়মিনের নাম তালিকার শীর্ষে। তিনি বিগত ৫০ বছর ধরে ইসলামের দাওয়াত, তাবলিগ, শিক্ষা ও গবেষণায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন পরম নিষ্ঠার সাথে। দীর্ঘকাল তিনি সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের সদস্য, উনায়যাতে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব, উনায়যা কেন্দ্রীয় মসজিদ সন্নিহিত ন্যাশনাল লাইব্রেরির শিক্ষক, উনায়যা একাডেমিক ইনস্টিটিউট ও রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ ইবন সৌদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ অনুষদের অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯২৮ সালে/১৩৪৭ হিজরি ২৭ রমজান সৌদি আরবের কাসিম অঞ্চলের উনায়যা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শায়খ আবদুর রহমান ইবন সুলায়মান আদ-দামিগি ও আলী ইবন শায়খ আবদুর রহমান ইবন নাসির আস-সাদি (১৩০৭-১৩৭৬ হিজরি), শায়খ মুহাম্মদ আমিন আশ-শানকিতি (১৩২৫-১৩৯৩ হিজরি), শায়খ আবদুর রাযযাক ইবন বায (১৩৩০-১৪২০ হিজরি), শায়খ আবদুল আযিয ইবন নাসির ইবন রাশিদ ও শায়খ আবদুর রাযযাক আল-আফরিকির কাছে আরবি ব্যাকরণ ও অলঙ্কার শাস্ত্র, তাওহিদ, তাফসির, হাদিস, ফিকহ, বিভিন্ন মাজহাবের তুলনামূলক পর্যালোচনা, সিরাতুর রাসূল সা:, উত্তরাধিকার আইন বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন। ১৩২৭ থেকে ১৩৭৩ হিজরি পর্যন্ত তিনি মাহাদ ইলমিতে অধ্যয়ন করেন। ১৯৭৪ হিজরিতে তিনি ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সৌদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উনায়যা ক্যাম্পাসের শরিয়াহ অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি পবিত্র কুরআন ও হাদিসের শিক্ষার আলোকে এবং আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের গবেষণাপদ্ধতি অনুসরণ করে সমসাময়িক যুগ-জিজ্ঞাসার সমাধানমূলক রায় ও ফতোয়া দিতেন।
প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা সম্পন্ন করে ১৩৭০ হিজরিতে তিনি উনায়যাতে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মসজিদে গ্রুপভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রমে (হালকা) শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৩৭৪ হিজরিতে তিনি ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সৌদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত উনায়যাস্থ মাহাদ ইলমিতে শিক্ষক নিযুক্ত হন। শায়খ আবদুর রহমান ইবন নাসির আস-সাদির ইন্তেকালের পর শায়খ আল-উসায়মিন উনায়যা কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পান। দেশ-বিদেশের বিপুলসংখ্যক ছাত্র ইলম হাসিলের জন্য তার চারপাশে ভিড় জমাতে থাকে। ১৩৯৮ হিজরিতে ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সৌদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনাধীন কাসিমস্থ শরিয়াহ ও উসুলুদ্দিন অনুষদের অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং আমৃত্যু তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ১৩৯৮ থেকে ১৪০০ হিজরি পর্যন্ত ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সৌদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য এবং ১৪০৭ হিজরি থেকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৪০২ হিজরি থেকে মৃত্যু অবধি তিনি রমজান ও হজ মৌসুমে পবিত্র কাবাঘরে এবং মদিনার মসজিদে নিয়মিত পাঠদান করতেন। এ ছাড়াও তিনি সৌদি বেতারে সম্প্রচারিত বিভিন্ন ধর্মীয় প্রোগ্রাম ও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিতেন।
ধর্মীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে তিনি তার নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধ অনুকরণের বাধ্যবাধকতা থেকে নিজকে সযতেœ দূরে রেখে তিনি সারা জীবন ইসলামের খিদমত করে গেছেন। ধর্মীয় ব্যাপারে অবরোহী পদ্ধতিতে সাদৃশ্যমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Analogical deductions) এবং দ্বীনের মৌল নীতিমালার যথার্থ প্রয়োগে সুগভীর কর্মপ্রয়াস তাকে সমসাময়িকদের মধ্যে বিশিষ্টতা দান করে। জীবনের ৫০টি বছর তিনি নিরবচ্ছিন্ন ও কঠোর নিয়মানুবর্তিতা সহকারে জ্ঞান বিতরণ, শিক্ষকতা, দাওয়াতি কর্মপরিচালনা, তাফসির লিখন, গ্রন্থরচনা, ওয়াজ ও বক্তৃতা প্রদান, হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ প্রণয়ন ও ফতোয়া প্রদানে ব্যয় করেন। ইসলামের বহুমাত্রিক খিদমতের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪১৪ হিজনি, শায়খ আল-উসায়মিনকে বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। কিং ফয়সাল ফাউন্ডেশন পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে তার পাঁচটি খিদমতকে বিবেচনায় আনা হয়। প্রথমত, হৃদয়ের বিশালতা, খোদাভীতি, ধনী-দরিদ্র ও উঁচু-নিচু নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের প্রতি নসিহত প্রদান এবং সত্যকথন ও নেক আমলের প্রতি মুসলমানদের উদ্বুদ্ধকরণ। দ্বিতীয়ত, শিক্ষকতা, ফতোয়া প্রদান ও গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে দিকনির্দেশনা। তৃতীয়ত, সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রদেশে সাধারণ জনগণের উপকারার্থে বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতা প্রদান। চতুর্থত, দাওয়াত ও নসিহতের ক্ষেত্রে সালফে সালেহিনের ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তাপদ্ধতির অনুসরণ।
প্রশাসনিক কর্মকা-, শিক্ষকতা, ওয়াজ-নসিহতের পাশাপাশি গ্রন্থরচনায় তিনি প্রতিদিন নিয়মিত সময় দিতেন। ফলে সময়ের আবর্তনে বিশাল এক রচনাসম্ভার গড়ে ওঠে। বড়-ছোট ৯৩টি গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর রচিত ফতোয়া ও রাসায়েল ২০ খ-, তাফসিরুল কুরআন আল-কারিম পাঁচ খ-, আশ-শারহুল মুমতি পাঁচ খ- এবং আল-কাওলুল মুফিদ দ্বিতীয় খ- অন্যতম। তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আটটি ভাষায় ২২টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ইংরেজি ভাষায় চারটি, ফরাসি ভাষায় ছয়টি, তামিল ভাষায় তিরটি, বাংলা ভাষায় ৫০টি, মালয় ভাষায় দু’টি, উর্দু ভাষায় দু’টি, হিন্দি ভাষায় একটি এবং ফারসি ভাষায় একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। বাংলা ভাষায় অনূদিত উল্লেখযোগ্য
গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে : ১. ইসলামী পুনর্জাগরণের পথ ও পদ্ধতি; ২. উলামাদের মতানৈক্য ও আমাদের করণীয়
৩. তাওবা ৪. জাকাতুল ফিতর ৫. সমাজসংস্কারে নারীর ভূমিকা ৬. বিদয়াতের ভয়াবহতা ৭. সহিহ হাদিসে কুদসি
৮. ইসলাম-সমর্থিত কয়েকটি স্বভাবজাত অধিকার ৯. হজ ও উমরার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ১০. স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর ১১. সালাত পরিত্যাগকারীদের বিধান ১২. ফিকহের মূলনীতি ১৩. ফিতনাতুত তাকফির ১৪. রিসালাতুল হিজাব ১৫. ইউথ প্রবলেম
ইংরেজি ভাষায় অনূদিত গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে :Right by the Nature and Ordained by Shariah Explanation of Ayat al Kursi. Explaining the fundamentals of Faith Fasting, the great act of worship . Explanation of Riyadus Saleheen. 2vol.তার রচিত গ্রন্থাবলি বিশ্বে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছে। এর মধ্যেজরমযঃ নু the Nature and Ordained by Shariahশীর্ষক গ্রন্থটি ইউরোপের বিদগ্ধ মুসলিম ও প্রাচ্যবিদ কর্তৃক প্রশংসিত। এ গ্রন্থে তিনি বলেন, সমাজের প্রতিটি সদস্যের জানা উচিত, সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী? যাতে ঘটনাপ্রবাহ সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে। আলোচ্য গ্রন্থে তিনি মুসলমানদের প্রতি আল্লাহ ও তার রাসূল সা:-এর অধিকার, অন্যের অধিকার, মা-বাবা, শিশু, আত্মীয়-স্বজন ও স্বামী-স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন।
শায়খ আল-উসায়মিন শিরক, বিদয়াত ও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি পরিহার করে ঐক্যের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য সারা জীবন মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করতেন, একজন দাওয়াহ কর্মীর দায়িত্ব হচ্ছে- আদর্শিক মুসলিম সমাজ গড়ে তোলা। লেখনী ও বক্তৃতার মাধ্যমে এ সত্যকে তিনি জনসমক্ষে তুলে ধরেন। জ্ঞান-সাধকদের প্রতি বিশেষভাবে এবং জনগণের প্রতি সাধারণভাবে প্রদত্ত তার মূল্যবান তিনটি উপদেশ নি¤œরূপ : প্রত্যেক মুসলমানের নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত, অর্থ ও ব্যাখ্যা অনুধাবন এবং পবিত্র আল কুরআনের শিক্ষার ওপর আমল করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সা:-এর মহান শিক্ষা, প্রজ্ঞা ও আদর্শকে নিজেদের জীবনে প্রতিফলনে প্রয়াসী করতে হবে। দুনিয়াব্যাপী ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য প্রত্যেক মুসলমানকে জান-মাল নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে এবং মুসলিম সমাজে প্রচলিত শিরক-বিদয়াত ও কুসংস্কার দূরীকরণে তাদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রত্যেক মুসলমানকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শাসক ও শাসিতের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক যাতে গড়ে ওঠে সে জন্য আলিমদের প্রয়াস চালাতে হবে।
রাবিতা আল-আলম আল-ইসলামীর মহাসচিব ড. আবদুল মুহসিন আত-তুর্কি এ জ্ঞানসাধক, জ্ঞানতাপস ও অধ্যাত্মিক মনীষীর দ্বীনদারি ও তাকওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, শায়খের দু’টি দুর্লভ ঘটনা আমার স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে। রিয়াদের ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সৌদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশেষায়িত (ঝঁনলবপঃ ড়ভ ঝঢ়বপরধষরুধঃরড়হ) গবেষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে শিক্ষকদের শ্রেণিবিন্যাসের কতিপয় নীতিমালা প্রণয়ন করেন কিন্তু শায়খ আল-উসায়মিন কোনো গবেষণাকর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেননি। এ অনীহার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভই একজন স্কলারের একমাত্র ব্রত হওয়া উচিৎ। তবে হ্যাঁ, গবেষণাকর্মের জন্য যদি কেউ জাগতিক পুরস্কার পেয়ে থাকেন তাতে কোনো অসুবিধা নেই। দ্বিতীয় ঘটনা সংঘটিত হয় যখন আমি ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সৌদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ছিলাম। একদিন শায়খ আল-উসায়মিন আমার হাতে টাকাভর্তি একটি খাম দিয়ে বললেন, কাসিমস্থ শরিয়াহ কলেজে লেকচার দেয়ার পারিশ্রমিক হিসেবে এ অর্থ আমাকে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু আমি তখন উনায়যাস্থ একাডেমিক ইনস্টিটিউটের পাঠ্যপুস্তক রচনায় ব্যস্ত ছিলাম, সেখান থেকে সময় বের করে লেকচার দিয়েছিলাম। সুতরাং ওই নির্ধারিত সময়ের কোনো পারিশ্রমিক আমি নিতে চাইনি। কারণ আমার পুরো সময়ের পারিশ্রমিক সরকারি কোষাগার থেকে অ্যাকাডেমির মাধ্যমে পেয়েছি।
উপর্যুক্ত দু’টি ঘটনায় শায়খের তাকওয়া, লিল্লাহিয়াত ও দরবেশী জিন্দেগির স্পষ্ট চিত্র ফুটে ওঠে। বিগত ২০০১ সালে/১৪২১ হিজরির ১৫ শাওয়াল এ মহান মনীষী ৭২ বছর বয়সে সৌদি আরবের জেদ্দায় ইন্তেকাল করেন এবং তার উস্তায শায়খ আবদুল আযিয ইবন বায ও শায়খ মুকবিল ইবন হাদি আল-ওয়াদির পাশে মক্কায় দাফন করা হয়। মৃত্যুর সময় তিনি পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান। শায়খের সন্তানরা তার পা-ুলিপির প্রকাশনা, বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ, প্রকাশিত রচনা, ভাষণ ও ফতোয়াগুলো ব্যাপক প্রচারের জন্য শায়খ মুহাম্মাদ সালিহ আল-উসায়মিন জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
পবিত্র কুরআন ও হাদিস থেকে যুগজিজ্ঞাসার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বের করার আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা ছিল তার সহজাত। তার অসাধারণ মেধা ও যোগ্যতা তাকে জনগণের কাছে নিয়ে এসেছিল। শায়খের নামাজে জানাজায় পাঁচ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার পরিচয় মেলে। লেখক : অধ্যাপক ও গবেষক
drkhalid09@gmail.com