রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন : আসিফ নজরুল তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার : পানিসম্পদ উপদেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না : মামুনুল হক নৌকা থাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন হতে পারে : উপদেষ্টা আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও সবাই একসঙ্গে জাতি গঠনে কাজ করবে: মঞ্জুরুল ইসলাম জাতিসংঘে ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা মাহমুদ আব্বাসের মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আব্দুল গফুরের দাফন ছাত্র-জনতার অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয় স্বৈরাচার থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছে

স্বরূপকাঠিতে বিএনপির জন্য আর্শীবাদ বয়ে আনবে মোঃ ফকরুল আলম

নিয়াজ মোর্শেদ (স্বরূপকাঠি) পিরোজপুর
  • আপডেট সময় শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩

রাজনীতির মাঠ সর্বদা বড়ই জটিল সমীকরণ নিয়ে এগিয়ে চলছে আপন মহিমায়। মাঝে মাঝে ক্ষমতার পালাবদল কেহ কেহ হয় নিঃস্ব। আবার কেহ হয় ক্ষমতার উৎস। বড়োই গোলমেলে হয় রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে। আবার সেই গাত্রদাহে যদি হয় আসন বন্টন। তাহলে তো আর কথা নেই কিন্তু আসন বন্টনের বদৌলতে কারও পৌষ মাস। আবার কারও দারুণ সর্বনাশও হয় বটে। আর সেই সূত্র ধরেই আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে পিরোজপুর জেলার আসন নিয়ে পুতুল পুতুল খেলা চলে আসছিল বহুদিন ধরে। আর চলতি সময়ে পিরোজপুর-১ আসন থেকে নেছারাবাদ উপজেলাকে বাদ দিয়ে ইন্দুকানি উপজেলাকে পিরোজপুর ও নাজিরপুরের সাথে সম্পৃক্ত করেন। অবশ্য বহুদিন ধরে নেছারাবাদবাসীরা একক সংসদীয় আসনের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু আলোর মুখ আজও দেখতে পায়নি।কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়ে কিছুটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। স্বরূপকাঠি উপজেলার সাথে কাউখালি উপজেলার আসন বন্টনের জোর দাবি ছিল সর্বমহলের।কিন্তু স্বরূপকাঠিবাসীরা আবারও অন্য দুই উপজেলার সাথে একত্রিত হয়ে পিরোজপুর-২ আসন। অর্থাৎ স্বরূপকাঠি-কাউখালি ও ভান্ডারিয়া নিয়ে পিরোজপুর দুই আসন হয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে নেছারাবাদ উপজেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটা পক্ষ, বিএনপির ৯০% নেতা কর্মীরা পিরোজপুর-১ আসনের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে চায় না। সাবেক সংসদ অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম স্যার সহ বি এন পির নেতা মোঃ ফকরুল আলম, মোঃ নাসির উদ্দিন ফকির সহ বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আবেদন করে কাউখালি ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে একটি আসন বন্টনের জন্য। কিন্তু মজার বিষয় এবারও স্বরূপকাঠি উপজেলার সাথে কাউখালি ও ভান্ডারিয়া উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-২ আসন বন্টন হয়।এদিকে নুতন আসন বন্টনের বদৌলতে স্বরূপকাঠি উপজেলার স্থানীয় নেতাদের কারও পৌষ মাস আবার কারও সর্বনাশ হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন,বর্তমান আওয়ামী সরকারের নিজস্ব প্রার্থীর সর্বনাশ হবে শতভাগ। কিন্তু লাভবান হবে মহাজোট প্রার্থী সাইকেল প্রীতিকের প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর। কপাল পুড়বে সাবেক সংসদ অধ্যক্ষ শাহ আলম স্যার সহ বহু আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। অবশ্য কপাল খুলতে পারে স্বরূপকাঠি উপজেলার গর্ব প্রয়াত আলহাজ্ব আঃ রহমানের সন্তান সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষক দলের নেতা মোঃ ফকরুল আলমের। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা, নেছারাবাদ উপজেলার সাবেক সভাপতি, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি মোঃ ফকরুল আলমের। আসন বন্টনের বদৌলতে স্বরূপকাঠি উপজেলার প্রদান্য বেশি থাকবে। ভোট ব্যাংকের হিসেবে ভান্ডারিয়া ও কাউখালি উপজেলার চেয়ে বেশি ভোট। বিগত সময়ে ছারছিনা দরবার শরীফের পূর্ণ ভূমির একটা আলাদা ঐতিহ্য আছে কিন্তু। আওয়ামী লীগের চেয়ে স্থানীয় বিএনপির প্রার্থী যাচাই বাছাইয়ে বেশি এগিয়ে।
সাবেক সংসদ শাহ আলম স্যার বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে কষ্টকর। তবে নেছারাবাদ উপজেলার বর্তমান সভাপতি সৈয়দ সহিদ উল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মাইদুল ইসলামও প্রার্থী দৌড়ে রয়েছে। স্থানীয় স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে বিএনপির প্রার্থীর ছড়াছড়ি। শুধু একজন ফকরুল আলমই নয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে স্বরূপকাঠি উপজেলার গর্ব বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ ফকরুল আলমের ভাগ্যে রয়েছে সোনার সোহাগা। কোন অঘটন ছাড়া শতভাগ নিশ্চিত মনে করেন সুশীল সমাজের সন্মানিত ভোটাররা।স্থানীয় প্রার্থীর যুদ্ধে সুশিক্ষিত ও মার্জিত স্বভাবের রাজনৈতিক নেতা মোঃ ফকরুল আলম সুনিশ্চিত মনে করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভাগ্য অনুকূলে নয়। বরং সর্বনাশ হয়েছে মহাজোট প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী স্বরূপকাঠি উপজেলার জন্য আর্শীবাদ নিয়ে আসবে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ ফকরুল আলম। দলমত নির্বিশেষে সকলে সহমত পোষণ করবেন। ভান্ডারিয়া উপজেলায় মোঃ ফকরুল আলমের একটা চমৎকার ঘাঁটি রয়েছে। কাউখালিতে অবস্থান চমৎকার। সার্বিক বিচার বিশ্লেষণে স্বরূপকাঠি উপজেলার স্থানীয় বিএনপির প্রার্থী মোঃ ফকরুল আলমের ভাগ খুলবে ইনশাআল্লাহ। এব্যাপারে কথা হয় ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র দলের নেতা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মোঃ ফকরুল আলমের সঙ্গে। তিনি অকপটে বলেন, দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। তবে আমি স্বরূপকাঠি উপজেলার জন্য কিছু একটা করবো ইনশাআল্লাহ। দল আমাকে যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে সিলেক্ট করবেন।বিগত সময়েও আমার নেতৃত্বে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে শক্তিশালী বিএনপির সংগঠন সহ যোগ্য প্রার্থী ছিলাম। শুধু চারদলীয় ঐক্য জোটের কারণে ছিটকে পড়তে হয়েছে। এবার আমাদের কপাল সবকিছু অনুকূলে। তাছাড়া ভান্ডারিয়া-কাউখালির চেয়ে আমাদের স্বরূপকাঠিতে ভোটারের সংখ্যা বেশী।আমি নিশ্চিত দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পিরোজপুর-২ আসনে সঠিক দায়িত্ব পালন করবেব। অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলেছেন, যোগ্যতার মানদ-ে বি এন পির নেতা মোঃ ফকরুল আলম স্বরূপকাঠি উপজেলার গর্ব এবং আর্শীবাদ ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com