গরিবের বিশেষ করে মা ও শিশু চিকিৎসাসেবার অন্যতম ভরসাস্থল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। সেই ভরসাস্থলেও সঠিক সেবা নেই অসহায় রোগীদের। সেবার পরিবর্তে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে মহিলা ও শিশু রোগীদের। বর্তমানে ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশি রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই চিকিৎসার জন্য অসহায় এসব রোগী চলে যায় ওই মা ও শিশু হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে চিকিৎসার পরিবর্তে হতে হচ্ছে হয়রানি। এসব ভুক্তভোগী রোগীকে সেখানে কর্তব্যরত একজন ফ্যামেলি ওয়েল ফেয়ার ভিজিটর প্রাথমিক চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে সরকারি কিছু ওষুধ হাতে ধরিয়ে দেই। ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের এমন অভিযোগ নিত্যদিনের। রোগীর সঠিক চিকিৎসা এ হাসপাতালে না মিললেও রাজার হালে এখানে চাকরি করছেন কয়েকজন কর্মচারী। কালীগঞ্জ উপজেলার শিবনগর এলাকায় অবস্থিত ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটিতে দুই জন মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পদায়ন থাকলেও বর্তমানে এই হাসপাতালে একজন ডাক্তারও নেই। ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি একজন ভিজিটর, দায় নার্স ও অফিস সহায়ক মোট এই তিনজন স্টাফ দিয়ে চালানো হচ্ছে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে। ফলে রোগীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখ হাসপাতালটি উদ্বোধন হলেও মূলত ডাক্তার,নার্স ও অন্যান্য স্টাফ স্বল্পতার কারণে ঠিকঠাকভাবে চলছেনা। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা মর্জিনা বেগম নামের এক প্রসূতি মায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম, কিন্তু ডাক্তার নেই। এত সুন্দর হাসপাতাল অথচ ডাক্তার নেই। এমন হলে আমরা সেবা পাব কিভাবে? মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বর্তমানে দায়িত্বরত ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ভিজিটর মোছাঃ ফারজানা ইয়াসমিন জানান, ডাক্তার না থাকায় আমি প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা ও সরকারি কিছু ওষুধ দিচ্ছি। শুরু থেকেই হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি ও অপারেশন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফাতিমাতুয সাদিয়া শেফা জানান,ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসাসেবা যথেষ্ট ব্যাহত হচ্ছে এটা সত্য। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাসপাতালটিতে ডাক্তারসহ অন্যান্য স্টাফ নিয়োগ হবে এবং রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন।