কম্বোডিয়া থেকে কখনো খালি হাতে ফিরতে হয়নি বাংলাদেশ ফুটবল দলকে। ব্যতিক্রম নয় এবারও। টানা তৃতীয়বারে কম্বোডিয়াকে তাদেরই মাঠেই হারাল জামাল ভূঁইয়ারা। মজিবুর রহমান জনির একমাত্র গোলে বাংলাদেশের জয় ১-০ ব্যধানে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) নমপেনে জাতীয় অলিম্পিক স্টেডিয়ামে কম্বোডিয়ার মুখোমুখি হয় জামাল ভুইয়ারা। সাফের আগে নিজেদের পূর্ণ প্রস্তুত করতে ম্যাচটাকে বেশ গুরুত্বের সাথেই নেয় হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
কম্বোডিয়ান সমর্থকদের সামনে জড়তা ভাঙতে সময় নেয় বাংলাদেশ। এ সময়ে বেশ কয়েকবার ভুল পাস দিয়ে বসে ফুটবলাররা। প্রথম ২০ মিনিট ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রাখে কম্বোডিয়া। তবে সময়ের সাথে সাথে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে বাংলাদেশ। ২২তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বাংলাদেশ। বল নিয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেন সুমন রেজা। তবে চৌন-চানকাভের ট্যাকলে পড়ে যান তিনি। ফ্রি কিক নেম জামাল ভূঁইয়া। তার দুর্বল সে ফ্রি কিক সোজা চলে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, তিন মিনিট পরই গোলের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। স্বাগতিক সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে ২৫তম মিনিটে গোল করেন জনি। ডান দিক থেকে ফাহিমের করা আড়াআড়ি পাসে জনির শট চোখের পলকে লুটোপুটি খায় জালে। জাতীয় দলের জার্সিতে এটাই জনির প্রথম গোল।
গোল হজম করে কম্বোডিয়া মরিয়া হয়ে উঠে প্রতিশোধ নিতে। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো গোলরক্ষণ আনিসুর রহমান জিকু। দারুণ দক্ষতায় দলকে রক্ষা করতে থাকেন তিনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেলেও সুমনের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যাওয়ায় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয় বাংলাদেশকে।
৫৭তম মিনিটে জামাল ও জনিকে তুলে মোরসালিন ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে নামান কোচ। ৬৬তম মিনিটে সুযোগ তৈরি করেন মোরসালিন। তবে তার শট ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে উড়ে যায়। আরো কিছু ছোট ছোট সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ, তবে তা ফলপ্রসু হয়নি।
অবশ্য কম্বোডিয়াও ছেড়ে কথা বলেনি। একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে তারাও। তবে জিকো তার কাজটা মন দিয়েই করে যান। যদিও শেষ দিকে এসে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তারিক কাজীকে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৬ ধাপ এগিয়ে থাকা কম্বোডিয়ার বিপক্ষে এই জয় নিয়েই আগামীকাল ভারত যাবে বাংলাদেশ দল। ২১ জুন বেঙ্গালুরুতে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এই জয় নিশ্চয়ই টাইগারদের বেশ উজ্জীবিত করবে।