শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন

দারিদ্র্য বিমোচনকে টেকসই করতে হবে

সরদার সিরাজ :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩

দেশে ব্যাপক হারে দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে বলে সরকারি লোকেরা প্রায়ই বলেন। বিবিএস’র খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০২২ এর প্রতিবেদন মতে, দেশে অতি দারিদ্র্যের হার ৫.৬% ও সার্বিক দারিদ্র্যের হার ১৮.৭% (গ্রামে ২০.৫% ও শহরে ১৪.৭%)। ২০১৬ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ১২.৯% ও সার্বিক দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪.৩%। ২০১৭-২০২২ সালে বছরে গড়ে ০.৯৩% পয়েন্ট হারে দারিদ্র্য কমেছে। আর ২০১০-২০১৬ সালে বছরে গড়ে ১.৩% পয়েন্ট হারে দারিদ্র্য কমেছিল। অর্থাৎ দারিদ্র্য হ্রাসের গতি কমেছে। মৌলিক চাহিদা পূরণের খরচ ধরে দারিদ্র্য পরিমাপ করে বিবিএস। একজন মানুষের দৈনিক গড়ে ২১২২ ক্যালরি খাদ্য গুণসম্পন্ন খাবার কিনতে এবং খাদ্যবহির্ভূত সব খরচ মেটাতে যত টাকা প্রয়োজন হয়, ওই টাকা আয় করতে না পারলেই ওই ব্যক্তিকে দরিদ্র হিসেবে ধরা হয়। ব্যয়ের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, এখন মানুষের ব্যয় হয় খাবারে ৪৫% ও খাদ্যবহির্ভূত ৫৫%। বাংলাদেশে একটি পরিবারের গড় সদস্য সংখ্যা ৪.২৬। সে মতে, পরিবারের গড়ে মাসিক আয় ৩২,৪২২ টাকা ও মাসিক ব্যয় ৩১,৫০০ টাকা। অর্থাৎ পরিবার প্রতি গড়ে আয়ের চেয়ে ব্যয় কম। আবার একই রিপোর্ট মতে, দেশে গড়ে ৩৭.৩% পরিবার ঋণগ্রস্ত (ঋণের পরিমাণ গড়ে ৭০,৫০৬ টাকা), যা ২০১৬ সালে ছিল ২৯.৭০% (ঋণের পরিমাণ ছিল গড়ে ৩৭,৭৪৩ টাকা)। অর্থাৎ একই রিপোর্টের এক স্থানে বলা হয়েছে, পরিবার প্রতি গড়ে আয়ের চেয়ে ব্যয় কম, আবার অন্যস্থানে বলা হয়েছে, এক তৃতীয়াংশের অধিক পরিবার ঋণগ্রস্ত! এর কোনটি সত্য তা বলা কঠিন। উক্ত রিপোর্ট মতে, মানুষের আয় বৈষম্য আগের চেয়ে বেড়েছে। ২০২২ সালে গিনি সহগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৪৯৯ পয়েন্ট, যা ২০১৬ সালে ছিল ০.৪৮২ পয়েন্ট। সাধারণত ০.৫০০ হলেই একটি দেশকে উচ্চ আয় বৈষম্যের দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অবশ্য, বিবিএসের তথ্যের সঠিকতা নিয়ে দেশ-বিদেশের সর্বত্রই সংশয় রয়েছে। উপরন্তু কোনো তথ্যই সময় মতো দিতে পারে না সংস্থাটি। দেয় অনেক দেরিতে।
ফলে তার গুরুত্ব থাকে না অনেক ক্ষেত্রে। তবুও বিবিএসের তথ্যই ব্যবহার করতে হয়। কারণ, দেশে সার্বিকভাবে তথ্য প্রদানের জন্য বিকল্প কোনে ব্যবস্থা নেই। কিছু সংস্থা কতিপয় ক্ষেত্রে তথ্য দেয় মাত্র। তাও নিয়মিত নয়, মাঝে-মধ্যে। বিশ্ব ব্যাংকের স্ট্যাটিস্টিক্যাল ক্যাপাসিটি ইনডেক্স-২০২১ মতে, তথ্যের নির্ভরযোগ্যতায় স্কোর বাংলাদেশের ৬০, আফগানিস্তানের ৫৭.৭৮, ভুটানের ৬০, ভারতের ৭৬.৬৭, শ্রীলংকার ৮০ এবং পাকিস্তান ও নেপালের ৭২.২২। সার্বিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গড় ৬৯.৮১। বাংলাদেশে স্কোর কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, বিষয়টি অবশ্যই চিন্তার। যা’হোক, ক্রেডিট সুইস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ২০২২ সালের সংস্করণকৃত প্রতিবেদন মতে, এখন বাংলাদেশে ১০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে ২৮,৯৩১ জনের। বিআইডিএসের গবেষণা রিপোর্ট মতে, গত ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের মানুষের আয় বেড়েছে উচ্চ মধ্যম আয়ের ২৫.৫%, নি¤œ মধ্যম আয়ের ৮.৮%, দরিদ্রদের ১০.২% ও অতি দরিদ্রদের ১৬%। বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক-২০২২ মতে, বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৪তম (আগের বছর ছিল ৭৬তম)। গত বছর প্রকাশিত পরিকল্পনা কমিশন ও বিবিএসের এক যৌথ প্রতিবেদন মতে, দেশে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার ৩৬.১% মানুষ। কিছুদিন আগে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের এক রিপোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এখনো বাংলাদেশে দারিদ্র্য দূরীকরণের হার সমজাতীয় দেশগুলোর চেয়ে অনেক শ্লথ। আইএলও’র ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: ট্রেন্ডস ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ১.৬%, যা গত বছর ছিল ৩%। এই পূর্বাভাস সঠিক হলে এই অঞ্চলে দারিদ্র্য বাড়বে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও। ক্লাইমেট ভালনারেবল ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের ১৯২টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। তাই আইপিসিসির আশঙ্কা-জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দারিদ্র্য প্রায় ১৫% বৃদ্ধি পাবে। এদিকে প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, মানুষ তত কর্ম হারাচ্ছে, দরিদ্র হচ্ছে!
যা’হোক, সাম্প্রতিককালে দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের হার ভালো। কিন্তু সেটা টেকসই নয় দেশি ও আন্তর্জাতিক নানা কারণে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টেও বলা হয়েছে, দেশে নতুন করে দারিদ্র্যের সংখ্যা বেড়েছে কোটির অধিক। সানেম গত ২৯ মার্চ এক জরিপ তথ্যে বলেছে, মূল্যস্ফীতির চাপে দেশের প্রায় ৭৪% নি¤œ-আয়ের পরিবার ধার করে চলছে। একই অবস্থা মধ্য আয়ের মানুষেরও। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের চরম দারিদ্র্য বিষয়ক বিশেষ দূত অলিভিয়ার শ্যুটার সম্প্রতি বিবিসিকে বলেছেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অগ্রগতি ভঙ্গুর। কারণ, যারা দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হয়েছে, তারা যে কোনো সময় আবার দরিদ্র হয়ে যেতে পারে। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এখনও মজবুত হয়নি। তাই যে কোনো ধরনের বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ তারা শামাল দিতে পারবে না’। চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখতে শ্যুটার ১২ দিনের সফর করেন বাংলাদেশ। সফর শেষে তিনি গত ২৯ মে এক সংবাদ সন্মেলনেও একই কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ভঙ্গুর। ২০২৪ সালের জুনে বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বশেষ প্রতিবেদন মানবাধিকার কাউন্সিলে পেশ করবেন। দেশে দারিদ্র্য বিমোচনের হার কমছে, ভঙ্গুর, নাকি বাড়বে তা নিয়ে বিতর্কের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, যারা দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে তারা যেন নতুন করে দারিদ্র্য না হয়। অর্থাৎ দারিদ্র্য বিমোচনকে টেকসই করতে হবে। এছাড়া, কেউ যেন নতুন দরিদ্র না হয় তাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জাতিসংঘের এসডিজি অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হবে। এসবের জন্য সব গরীব মানুষের স্থায়ী আবাস ও ভূমির ব্যবস্থা করতে হবে স্থানীয় পর্যায়েই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন, দেশের একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। এই ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হবে যথাশিগগির। এ ক্ষেত্রে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এর সুবিধাভোগী, স্থান নির্ধারণ ও টেকসই হওয়া নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে, যা দূর করতে হবে এবং এর ব্যাপক প্রসার ঘটাতে হবে দেশব্যাপী। উপরন্তু খাস ও অন্যান্য সরকারি জমি ধনীদের দখল থেকে উদ্ধার করে গরীব মানুষের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। ব্যাপক মূল্যস্ফীতি (প্রায় ১০%, যা এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ) রোধ করে স্বাভাবিক করতে হবে। সে জন্য নিয়মিত বাজার তদারকির মাধ্যমে সিন্ডিকেট ভাঙতে ও নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। উপরন্তু স্বল্পমূল্যে ও প্রয়োজন মতো নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে কার্ডের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের বিনামূল্যে ভালো শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারিভাবে (ব্যয় বহুল শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে বছরে কয়েক লাখ মানুষ দরিদ্র হচ্ছে)। উপরন্তু সাধারণ মানুষের সকলকেই সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে হবে। তাতে সরকারকে সহায়তা করতে হবে। নদী ভাঙ্গন ও জলবায়ুর ক্ষতির প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা খাতকে শক্তিশালী এবং প্রকৃত লোকরা যেন তার উপকারভোগী হয় তা নিশ্চিত ও অপ্রাসঙ্গিক বিষয় বাদ দিতে হবে।
বিশ্ব ব্যাংক গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমবাজারের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। শ্রমবাজারের অন্যান্য সূচকেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বেতন কাঠামোর তালিকায় বাংলাদেশ নবম। বাংলাদেশের আগে রয়েছে শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপাল। আইএলও গত মে বলেছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রকৃত মজুরি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ০.৪%। জাতি সংঘের বিশেষ দূত শ্যুটারও গত ২৯ মে বলেছেন, মজুরি বৃদ্ধি এবং সামাজিক খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছে অনেক দিন থেকেই। পরিকল্পমন্ত্রীও বলেছেন, মূল্যস্ফীতির তুলনায় শ্রমিকের মজুরি কম। তাই শ্রমিকের মজুরি বাড়াতে হবে বর্তমান মূল্যস্ফীতির সাথে সঙ্গতি রেখে। উপরন্তু জাতীয় নি¤œতর মাসিক মজুরি নির্ধারণ করতে হবে বিবিএসের খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০২২ এর পরিবার প্রতি গড় মাসিক ব্যয় অনুযায়ী। গত ২৭ জুলাই প্রকাশিত ‘সানেম’ ও ‘অ্যাকশন এইড, বাংলাদেশ’ এর যৌথ গবেষণা প্রতিবেদন মতে, দেশের বেকার ৭৮% শিক্ষিত তরুণ, দরিদ্র পরিবারের শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে এই হার ৮৯%। ধনী পরিবারের শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে অবশ্য মাত্র ১৯% এমন আশঙ্কায় ভুগছেন। অশিক্ষিত ও অর্ধ শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার আরো বেশি। অবশ্য, বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপ-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন মতে, দেশে গড় বেকারত্বের হার ৩.৬% (সংখ্যায় ২৬.৩০ লাখ), যা ২০১৬ সালে ছিল ৪.২%। অর্থাৎ দেশে বেকারের হার কমেছে। এটা নির্ণয় করা হয়েছে আইএলও’র থিউরী অনুযায়ী।
আইএলও’র থিউরী হচ্ছে, সপ্তাহে এক ঘণ্টাও কাজ না পেলে সে বেকার। কিন্তু এ ধরনের লোক কি দেশে আছে? নেই। কারণ, বেকাররাও কিছু না কিছু করেই। কিন্তু তাতে জীবন নির্বাহ হয় না। তাই দেশে প্রকৃত বেকারের হার ব্যাপক। বেকারত্ব দূর করা আবশ্যক। সে জন্য বিদেশে কর্মসংস্থানের বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে এবং বিনা প্রতারণায় ও স্বল্প ব্যয়ে প্রেরণের ব্যবস্থা করতে হবে। উপরন্তু দেশের সর্বত্রই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। সে জন্য সব বন্ধ শিল্প ও কল-কারখানা দ্রুত চালু এবং শ্রমঘন নতুন শিল্প স্থাপন করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব শূন্য পদ অবিলম্বে পূরণ করতে হবে নিয়োগের মাধ্যমে। গত ১ জুন প্রকাশিত সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান-২০২২ মতে, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ আছে ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। বাকি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি পদ শূন্য। সর্বোপরি দারিদ্র্যমুক্ত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য আঞ্চলিক বৈষম্য দূর ও ক্ষুদ্র ঋণ ও কৃষি ঋণের প্রসার ঘটাতে হবে। অন্যদিকে, দারিদ্র্যের পরিমাপক পরিবর্তন করা দরকার। কারণ, বিশ্ব ব্যাংকের মতে, ১.৯০ মার্কিন ডলারের কম দৈনিক আয় হলে সে দরিদ্র। কিন্তু এই থিউরী অনেক পুরনো। তখনের চেয়ে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি কয়েকগুণ বেড়েছে সারা বিশ্বেই। তাই বর্তমানের মূল্যস্ফীতি অনুযায়ী দারিদ্র্যের পরিমাপ করতে হবে, যা দৈনিক কমপক্ষে ৬ মার্কিন ডলার হওয়া প্রয়োজন। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, দেশে জন্মহার অনেক বেশি। তাই জনঘনত্ব অনেক দেশের চেয়ে তিনগুণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দারিদ্র বিমোচন টেকসই করা, দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা ও কাক্সিক্ষত সার্বিক উন্নতি করা কঠিন। লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
sardarsiraj1955@gmail.com




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com