পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলাধীন মধুমতি নদীর পারে বৈবুনিয়া গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্প ও মরা বলেশ^র নদীর পারে চর মাহামুদকান্দা আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা মাদকসেবীদের উৎপাতে অতিষ্ট। জানা গেছে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের ঘর দখল বাণিজ্যের ব্যপক অভিযোগ থাকলেও তার উপরে প্রতিরাতে মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের উৎপাতে আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত নারী ও পুরুষরা অতিষ্ট হয়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশ্রয়ন প্রকল্পের একাধিক ব্যক্তি জানান, সূর্যাস্তের পর পরই চলে আসে মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারীরা। তারা গভীর রাত পর্যন্ত প্রকল্পের বিভিন্ন কোনায় ও বৈবুনিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের মধুমতি নদীর ভেরিবাধে বসে মাদক সেবন ও মাদক বিক্রয় করে। বৈবুনিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের বিধবা তৃপ্তি রানী(৪৫), গৌড়ি মজুমদার(৫৮), আউয়াল শেখ(৬৫), রুপ মালা(৭০) এ প্রতিনিধিকে জানান, নেশাদ্রব্য বিক্রেতা ও সেবনকারীরা শুধু এই এলাকার নয় বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের এই আশ্রয়ন প্রকল্পের ভেরিবাধে বসে গভীর রাত পর্যন্ত নেশা করে এবং অনেক অসহায় বিধবা নারীর ঘরের চালে ঢিল ছুড়ে বিরক্ত করে, প্রতিবাদ করলে আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। অপর দিকে চর মাহামুদকান্দা আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন মরা বলেশ^র নদীর অপর পাড় বাগেরহাট জেলাধীন চিতলমারী থানা এলাকা থেকে মাদকসেী ও মাদক বিক্রেতারা আশ্রয়ন প্রকল্পের আশ-পাশে ও ভিতরে এসে মাদক সেবন ও বিক্রয় করে। কিছুদিন পূর্বে রাতে আশ্রয়ন প্রকল্প হইতে স্থানীয় প্রভাবশালী জনৈক ইউসুফ এর ছেলেকে চিতলমারী থানা পুলিশ নিজ এরিয়া ছেড়ে নাজিরপুর থানায় সীমানায় আশ্রয়ন প্রকল্পে এসে মাদক সহ গ্রেফতার করে মোট অংকের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে আরো জানায় ঐ মাহামুদকান্দা আশ্রয়ন প্রকল্পে বেশ কিছু ঘর সরকারি বরাদ্দ না থাকলেও স্থানীয় একটি প্রভাশালী মহল দাপট দেখিয়ে ঘর দখল করে বসে আছে। আবার দুটি আশ্রয়ন প্রকল্পের বেশ কয়েকটি ঘরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে ঐ সকল প্রভাবশালীরা, তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা পেলে খুলে যায় বন্ধ ঘরের তালা। যেখানে প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে, গৃহহীন, অসহায়, দুস্থ, গরীব পরিবারের জন্য এ সকল আশ্রয়ন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করে, ঐ সকল মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আশ্রয়ন কেন্দ্রে বসবাসরত কিছু পরিবার অসহায়ত্বের সাইনবোর্ড লাগিয়ে রাতের আধারে নেশা করা ও মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের সুযোগ করে দেয়। ফলে আশ্রয়ন প্রকল্প ও তার আশ-পাশের এলাকার যুব সমাজের একাংশের মূল্যবান জীবন ঝড়ে যাচ্ছে মাদকের ছোবলে। আর এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ঐ আশ্রয়ন প্রকল্পের শান্তিপ্রিয় পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।