আন্দোলন চলমান আছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেটাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসতে তারা কাজ করছেন। গতকাল শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী, লুটেরা, গণবিরোধী, অবৈধভাবে জোর করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এই সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। তারা জনগণের সকল অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। বিশেষ করে ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার, লেখার অধিকার- সমস্ত কিছু কেড়ে নিয়েছে। আমরা এই লুটেরাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা প্রায় ৩৬টি দল একমত হয়েছি।’ ‘আমাদের আন্দোলন চলমান আছে, সেটাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসছে আমরা কাজ করছি,’ বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমাদের আলোচনা হয়েছে যুগপৎ আন্দোলন ও সামনে কী ধরনের কর্মসূচি আসবে সে বিষয়ে। সকল দলের দাবিগুলোকে নিয়ে এক দফার আন্দোলন রূপ কিভাবে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আশাবাদ ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আশাবাদী এদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।’ গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার যে নৈরাজ্য, লুটেরা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, দ্রব্যমূল্য নাভিশ্বাস পর্যায়ে গেছে। তাতে এদেশের জনগণ মনে করে এই সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় রাখা যাবে না। আমরা বলেছি, আগামী নির্বাচনে নির্দিষ্ট সরকারের অধীনে হতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া বাংলাদেশের কোনো নির্বাচন হবে না। এবং জনগণ সেটা গ্রহণ করবে না। সেই লক্ষ্যেই আমরা এক দফার আন্দোলনে যাচ্ছি অচিরেই।’
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুলের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। গণফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, মহাসচিব মো: আবদুল কাদের।