ভারতের উত্তর-পূর্বাণ্ডলীয় রাজ্য মণিপুরে সহিংসতা নিয়ে দেশজুড়ে অস্থিরতার মধ্যেই নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে ২৬টি বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। বুধবার লোকসভায় কংগ্রেসের পাশাপাশি বিআরএসও আলাদাভাবে প্রস্তাব এনেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। এরপরই তা সংসদে গৃহীত হয়। এ বিষয়ে বিতর্ক কবে হবে, সেই তারিখ শিগগিরই ঘোষণা করবেন স্পিকার ওম বিড়ালা।
মণিপুরে সহিংসতা এবং ধর্ষণ ইস্যুতে মোদিকে জবাব দিতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। গতকাল বুধবার (২৬ জুলাই) সকালে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন কংগ্রেসের গৌরব গগৈ। বিআরএসের ফ্লোর লিডার নাগেশ্বর রাওও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা দাঁড়িয়ে তাতে সমর্থন জানান। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাবে কোনও সংকট তৈরি হবে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিরোধীদের কিছুটা খোঁচা দিয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ জোশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সরকারে আস্থা রয়েছে জনগণের।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এসেছে, পার্লামেন্টে ৫০ জন্য সদস্যের সমর্থন থাকলে অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে লোকসভায় বিআরএসের মাত্রা ৯টি আসন রয়েছে। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ক্ষমতাসীন এনডিএ’র রয়েছে ৩৩১টি আসন। অন্যদিকে বিরোধী দল ইন্ডিয়া জোটের ১৪৪টি। ২০১৮ সালে নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তেলুগু দেশম পার্টি। সেবার ৩২৫-১২৬ ভোটে সেটি খারিজ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মণিপুর রাজ্যে দুই নারীকে নগ্ন করে গ্রামে ঘোরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, নগ্ন অবস্থায় দুই নারী গ্রামে হাঁটছেন। তাদের ঘিরে রেখেছে একদল পুরুষ। এই ভিডিও টুইটারে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় বিভিন্ন মহলে। প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজ্যে এ নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। ঘটনাটি ঘটে গত ৪ মে। মণিপুরের উপত্যকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি ও পার্বত্য সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকি উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার একদিন পর।