বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ অপরাহ্ন

পাঁচ হাজার টন চিনি কিনবে সরকার

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪

স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ চিনি কিনতে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা ৯০ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে এ চিনি বিক্রি করা হবে।
দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে এ চিনি কিনতে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ’র সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে টিসিবির এক লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তারেই অংশ হিসেবে মোট চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বাংলাদেশে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ) টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী প্রায় এক কোটি নি¤œআয়ের পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।স্থানীয়ভাবে ৫ হাজার টন চিনি কেনার জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে গত ৬ অক্টোবর উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) আহ্বান করা হয়। পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৬১(৫) অনুযায়ী উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির অধীন অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহ, কার্যসম্পাদন বা ভৌত সেবার জন্য বিজ্ঞাপন পত্রিকায় প্রকাশের তারিখ হতে দরপত্র প্রণয়ন ও দাখিলের জন্য ন্যূনতম ২৮ দিন সময় ধার্য ছিল।
তবে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গত ৪ জুন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের জন্য স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে দরপত্র প্রণয়ন ও দাখিলের সময়সীমা ২৮ দিনের পরিবর্তে ১৪ দিন অনুমোদন করে। সে পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ২১ অক্টোবর এবং দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ ২৯ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত ছিল।
এর আগে গত ১২ আগস্ট তারিখে উন্মুক্ত দরপত্রের বিপরীতে চিনির কোনো দরপত্র পাওয়া যায়নি এবং গত ২সেপ্টেম্বর তারিখে উন্মুক্ত দরপত্রে চিনির সর্বনি¤œ দরদাতা নন-রেসপনসিভ বিবেচিত হওয়ায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি তা বাতিল করে। তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বানের পর দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি ২১ অক্টোবর দরপত্র উন্মুক্ত করলে একটি দরপত্র পাওয়া যায়। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-১৬ (৫ক) অনুযায়ী প্রতি কেজি চিনির দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য ১২৩ টাকা ৮৭ পয়সা।
সূত্র জানায়, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি রেসপনসিভ সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড টিসিবির গুদামগুলোতে পরিবহন খরচসহ প্রতি কেজি ১২০ টাকা ৯০ পয়সা উল্লেখ করে। সে হিসেবে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৫ হাজার টাকা।
৫০ কেজির বস্তায় প্রতিষ্ঠানটি ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি সরবরাহ করবে বলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সুপারিশ করে। প্রতি কেজি চিনির দাপ্তরিক মূল্য ১২৩ টাকা ৮৭ পয়সা সে হিসেবে রেসপনসিভ দরদাতা ১২০ টাকা ৯০ পয়সা দর উল্লেখ করায় দাপ্তরিক মূল্যের চেয়ে ২ টাকা ৯৭ পয়সা কমে এ চিনি পাওয়া যাবে বলে মূল্যায়ন কমিটি তাদের মতামত দেয়। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সার্বিক বিষয় আলোচনা হয় এবং কমিটি সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ৫ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com