বৈরী আবহাওয়ায় বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার দেখা দিয়েছে। সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার বিকেল থেকে কীর্তণখোলার জোয়ারের পানি বরিশাল নগরীর বিভিন্নস্থানের নিন্মাঞ্চল সহ প্রাণ কেন্দ্র সদর রোড পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। নগরীর নিচু এলাকাগুলো গত দুইদিন ধরে কীর্তণখোলার জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে। দক্ষিণাঞ্চলের নদীতীরবর্তী সব চরাঞ্চল ও লোকালয়ে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাইজুল ইসলাম জানান, তারা দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর ১৯টি পয়েন্টে পানির উচ্চতা পরিমাপ করেন। বুধবার রাত ৮টা রিপোর্ট অনুযায়ী, সবগুলো পয়েন্টে পানির লেভেল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে সরাসরি সাগরের সঙ্গে যুক্ত মেঘনা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে পানির উচ্চতা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে ৩ ফুট উচুতে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষখালী নদীর পাথরঘাটা পয়েন্টে বিপদসীমার লেভেল হচ্ছে এক দশমিক ৮৫। বুধবার বিকেলে সেখানে পানির উচ্চতা ছিল দুই দশমিক ৪২ মিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার দশমিক ৫৭ মিটার ওপর দিয়ে জোয়ারে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘনা নদীর ভোলার তজুমউদ্দিন পয়েন্টে বিপদসীমার লেভেল হচ্ছে ২ দশমিক ২২। বুধবার সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় ছিল তিন দশমিক ২৪। বরিশাল নগরীর কীর্তণখোলা নদীতে বিপৎসীমার চেয়ে দশমিক ১৫ মিটার ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়েছে। ফলে কীর্তণখোলার সঙ্গে সংযুক্ত ড্রেন দিয়ে প্রবেশ করা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোড ও তার আশেপাশের এলাকা। নগরীর নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়ানগর এলাকার বাসিন্দা মিরাজ হোসেন জানান, গত দুইদিন ধরে তাদের এলাকায় জোয়ারের সময় লোকালয় ও সড়কগুলো প্রায় হাটু সমান পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন নিচু ঘরের বাসিন্দারা। তাদের ঘরেও মধ্যেও পানি প্রবেশ করেছে। একই অবস্থা নগরীর পলাশপুর, আমানগঞ্জ ও ভাটিখানার একাংশে। কীর্তণখোলা তীরবর্তী এই এলাকাগুলো নগরীর নিচু এলাকা হিসাবে পরিচিত।