বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গত এক মাস ধরে গরুর ল্যাম্পিস্কিন রেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই রোগে গত কয়েকদিনে উপজেলায় প্রায় শতাধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এই রোগ নিয়ে কৃষকদের এবং খামারিদের মধ্য আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই রোগের প্রতিষেধকও পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা প্রাণীসম্মদ অফিস সূত্রে জানা গেছে,আদমদীঘি উপজেলায় গরুর খামার রয়েছে ১ হাজার ৬১টি, ডেইরি ফার্ম রয়েছে ৫টি, উপজেলার বিভিন্ন কৃষকের গোয়ালে দেশি জাতের গরু রয়েছে ৫৪ হাজার ২৪৭টি, সংকর জাতের গরু রয়েছে ৩০ হাজার ১২৩টি। তবে কি পরিমান গবাদি পশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান নেই উপজেলা প্রাণী সম্মদ অফিসে। উপজেলার বিভিন্ন খামার মালিক ও কৃষকরা জানিয়েছে, এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে প্রচন্ড জ্বর আসে। কয়েকদিন পর গরুর চামড়ায় বসন্তের মতো দাগ দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি করে। গরু খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কোন কোন গরু মারাও যায়। চিকিৎসকদের মতে, এসব লক্ষণ নিশ্চিত লাম্পি স্কিন ডিজিজের। এর আগে পশু মারা যাওয়ার হার ১-৩ শতাংশ। আক্রান্ত গবাদি পশুর চোখ দিয়ে পানি ঝরে চোখ অন্ধ হয়েও যেতে পারে। মশা-মাছির এবং খবারের মাধ্যমে এক গরু থেকে আরেক গরুতে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত গাভির দুধেও এ ভাইরাস বিদ্যমান। তাই আক্রান্ত গাভির দুধ খেয়ে বাছুর আক্রান্ত হতে পারে। প্রধানত বর্ষার শেষে,শরতের শুরুতে অথবা বসন্তের শুরুতে এ রোগ দেখা দেয় এবং ছড়িয়ে পড়ে। নশরৎপুর উপজেলার কৃষক আজিজার রহমান জানান কয়েকদিন আগে তার নিজের ৩টি গরুর এ রোগ দিখা দিয়েছিল। চিকিৎসা করার পর এখন গরু ভাল আছে। তবে ওষুধ পেতে কষ্ট হয়েছে। এই রোগ বিষয়ে সব চাষিকে তার গরু বিষয়ে সাবধান হতে তবে। উপজেলা প্রাণী সম্মদ কর্মকর্তা ডাঃ আমিরুল ইসলাম জানান কিছুটা ওষুধের সংকট আছে। তবে ওষুধের চাহিদা জানিয়ে উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আক্রান্ত গরুকে ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার এবং নিয়মিত জ্বরের ট্যাবলেট নিয়ম মেনে দিতে হবে। আক্রান্ত পশুকে এলএসডি ভ্যাকসিন দিতে হবে। এ বিষয়ে আমরা কৃষক ও খামারিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।