দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধিতে সোমবার বিকেল থেকেই নিমজ্জিত হয়ে বন্ধ হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক যোগাযোগ। কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ সিকলঘাট স্টেশন হতে নলবিলা হয়ে জিদ্দাবাজার পর্যন্ত সড়ক পানিতে ডুবে আছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত সড়কটি পানি নিমজ্জিত ছিল। এছাড়া মহাসড়কটির কেরানীহাট অংশও বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে কার্যত সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়া এবং পেকুয়া উপজেলার মানুষ এত পানি অতীতে কখনো দেখেনি। এর জন্য স্থানীয়রা বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইনকে দুষছেন। কেউে কেউ বলছেন, বিভিন্ন পানি নির্গমনস্থানে খুবই সংকীর্ণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে পানি সহজেই নামতে পারছে না। এছাড়া সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ এবং পটিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানি নিমজ্জিত রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারাও পানি নামতে ধীরগতির জন্য নতুন রেললাইনকেই দুষছেন। এদিকে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রাইমারি স্কুলগুলো ‘সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’ তালিকার বাইরে থাকায় ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা। প্রাইমারি ছাড়া সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্টানে আজ ক্লাস হচ্ছে না। তাছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আজ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।