দুর্নীতি প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হতে হবে। দুর্নীতি কমিশনের একার পক্ষে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব না। লেখা পড়া করা অবস্থায় নৈতিকতা লালন করতে হবে শুদ্ধাচার শিখতে হবে। দুর্নীতিকে না বলতে হবে এবং দুর্নীতিবাজদের ঘৃনা করতে হবে। তাহলেই দেশ ও সমাজ থেকে দুনীতি প্রতিরোধ হবে। জনবল কম নিয়ে দুদক কমিশন চলছে। তাই সকল শ্রেণির পেশার মানুষের সহযোগিতা থাকতে হবে। দুদকের বিধি অনুযায়ী অভিযোগকারী নাম দুদক প্রকাশ করে না। অভিযোগের ধরন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। দুদক কাউকে ফোন করে না। অভিযোগ পেলে নোটিশ করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মাহাবুব হোসেন বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়মে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। দুদকের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দুদকের পরিচালক প্রশাসন আখতার হোসেন।বাগেরহাট জেলা প্রশাসক খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে গণশুনানির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, দুদকের বাগেরহাট জেলা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণশুনানি কায্যক্রম শুরু করা হয়। দুদকের এ গণশুনানিতে সরাসরি জেলা কালেক্টরেটের ভূমি হুকুম দখল অফিস, এসিল্যান্ড, পরিবেশ অধিদফতর, সাব রেজিস্ট্রি অফিস, মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, শিক্ষা বিভাগসহ সকল সরকারি দফতর ও বেসরকারি সংস্থা সুখী মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। শুনানীতে ২০টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ৭১টি অভিযোগ গৃহিত হয়। যার ৫০টি অভিযোগ তাৎক্ষনিকভাবে সমাধান করা হয়।