পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল অঞ্চলের বিএনপির তারুণ্যের একদফার আন্দোলনের পথযাত্রা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ও উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রায়ত লিয়াকত হোসেন রিপন ডাকুয়ার দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিটন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৭নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ মুজিবর রহমান, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ৭নং সেখমাটিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনিপর সিনিয়র নেতা বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী সমাজ সেবক হিরুয়ার রহমান মোল্লা, ৯নং কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাষ্টার হালিম, ৫নং শাঁখারীকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন খান, ৮নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার আলী মোল্লা, ১নং মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের সভাপতি সরদার সাফায়েত হোসেন শাহীন, ৫নং শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম লিটন, স্বেচ্ছাসেবক দল এর আহ্বায়ক এনামুল কবির শিপন, সদস্য সচিব রিয়াজ উদ্দিন ফরাজী, ২নং মালিখালী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাবু হরেকৃষ্ণ সহ যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের ৯ ইউনিয়নের একাধিক নেতা-কর্মী উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আগামি ২৩ সেপ্টেম্বরের কেন্দ্র ঘোষিত দলীয় কর্মসূচী পালনে নেতা-কর্মীর প্রস্তুতি বৈঠকে বিভিন্ন বক্তারা বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং বলেন, আজকে আমাদের দলের একজন একনিষ্ট ও নি:স্বার্থ কর্মীকে হারিয়েছি, যে কর্মী দীর্ঘদিন ডায়বেটিস জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েও দলীয় সকল কর্মসূচীতে সক্রীয় ভাবে অংশগ্রহন করেছেন, আজ শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাসায় থেকেও বর্তমান ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের এই উপজেলার গায়েবী মামলাগুলিতে আসামীর তালিকা থেকে রেহাই পায়নি। গত ৮ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদলের নব-নির্বাচিত আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে নাজিরপুর থেকে পুষ্পমাল্য দিয়ে বরণ করা এবং গাড়ী বহর নিয়ে পিরোজপুরে যাওয়ার পথে নাজিরপুর বাস-স্ট্যান্ডে বসিয়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ঐ বহরে হামলা করে অনেক নেতা-কর্মীকে আহত করে, এরপরে থানা-পুলিশকে দিয়ে একটি মিথ্যা গায়েবি মামলা রুজু করে ৩৬ জন নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ করে মামলা রুজু করে। ঐ মামলায় প্রায়ত বিএনপি নেতা লিয়াকত হোসেন রিপন ডাকুয়াকে ১৫ নম্বর আসামী করা হয়। ঐ গায়েবি মামলায় জামিন নিতে মহামান্য হাইকোর্টের উদ্দেশ্যে ঢাকায় গিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অফিসের নেতা-কর্মীদের সাথে দেখা করে নিজের সহোদর ছোট ভাই শাহাবাগ থানা বিএনপির নেতা শওকত হোসেন স্বপন ডাকুয়ার বাসায় অবস্থানরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পরে শেষ নি:শ^াস ত্যাগ করলে এ সংবাদ মুহুর্তেই ছড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড: মিজানুর রহমান দুলাল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন ও জেলা যুবদলের নব-নির্বাচিত কমিটির সদস্য সচিব শেখ মাসুদ, দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায়ত বিএনপি নেতার ঢাকায় প্রথম যানাযায় অংশগ্রহন করেন এবং উক্ত যানাযায় ঐ মামলার অধিকাংশ আসামীরাও অংশগ্রহন করেন। জানাযা শেষে উক্ত বিএনপি নেতার মৃতদেহ গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসেন। অত:পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম আনোয়ারুল ইসলাম পলাশ সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির সকল অংঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বাড়ীতে এসে কবর জিয়ারত সহ পরিবারের খোঁজ-খবর নেন। বক্তব্য শেষে প্রায়ত ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ লিয়াকত হোসেন রিপন ডাকুয়ার স্মৃতিচরণ ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।