ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে গত ২৪ জুন দ্রুত গতির অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে ৮জন নিহতের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। ঘটনার তিনমাস পরে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে মাইটকুমরা ও ফেলাননগর গ্রামের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেলিম রেজা লিপন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমএম আসাদুজ্জামান মিন্টু, আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান বেলায়েত হোসেন, বোয়ালমারী পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম, এনামুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কামরুল সিকদার, ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা আলী তমাল, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী প্রমুখ। জানা যায়, গত ২৪ জুন জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম হাইওয়ে সড়কে সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমরা মাইটকুমড়া গ্রামের আলমগীর খানের স্ত্রী কমলা পারভীন(৩২), কমলা পারভীনের বড় ছেলে আরিফ(১৩), মেঝ ছেলে হাসিব(৮) ও কন্যা আফসার(২), ফেলানগর উত্তর পাড়ার সৌদি প্রবাসী আজিজার শেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রামের সেনা সদস্য মাহামুদুল হাসান রনির স্ত্রী মোসা. বিউটি পারভীন(২৭), বিউটি পারভীনের ছেলে মেহেদীর(১০) নিহত হয়। পরের দিন অ্যাম্বুলেন্স চালক ফরিদপুরের মিতুল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে ঘটনার তিনমাস পর বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাইটকুমড়া গ্রামের নিহত একই পরিবারের ৪জনের ৪ লাখ, আলফাডাঙ্গার কুচিয়াগ্রামের দুইজনের ২ লাখ টাকার অনুদানের চেক আলমগীর খানের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে বেলা ২টায় ফেলাননগর গ্রামের নিহত তাসর্লিমার বেঁচে থাকা একমাত্র ছেলে আনিচের হাতে ১ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন আব্দুর রহমান। এ ব্যাপারে নিহতদের পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর চেক তুলে দেওয়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। বঙ্গবন্ধু যেভাবে দেশের মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করে গেছেন। তেমনি তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল পর্যায়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আমার নির্বাচনী এলাকার একই পরিবারের ৭জনসহ ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণে ৮জন নিহতের ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হলে প্রত্যেককে নেত্রী এক লাখ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন।