দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম মেধাবী রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে একজন। চমৎকার কথাবার্তা ও মায়াবী আচার আচরণের কারণে পিরোজপুর (২) আসনের স্বরূপকাঠি – কাউখালি ও ভান্ডারিয়া উপজেলার সাধারণ ভোটারদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। রাজনীতির মাঠে বিগত সময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের রাজনীতির মাঠে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন একজন। অধম্য সাহসের কারণে জনগণের মানস কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও একজন। রাজনীতির বদৌলতে কাউখালীর বাসিন্দা হওয়া সত্বেও পার্শ্ববর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে ছিল লেখাপড়া। সরকারি স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র । আর আমরাও সুপ্রিয় পাঠকের জন্য বলছিলাম একজন চমৎকার রাজনৈতিক নেতার কথা। আর সেই নেতা আমাদের সকলের সুনজরে থাকা আলহাজ্ব ইসাহাক আলী খান পান্না। চলতি সময়ে পিরোজপুর (২) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আর সেই সূত্র ধরেই স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে গত শনিবার স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। একান্ত আলাপ চারিতায় খোলামেলা কথা বলেন গণ মাধ্যম কর্মী সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর (২) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব ইসাহাক আলী খান পান্না।বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি বাবু শশাঙ্ক রঞ্জন সমদ্দার সময় উপযোগী বক্তব্য তুলে ধরলেন মতবিনিময় সভার আলোচনায়।তবে চমৎকার ও সময় উপযোগী চিন্তা ভাবনা নিয়ে সময় উপযোগী বক্তব্য তুলে ধরলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাইদুল ইসলাম মুহিত সহ শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মোঃ সালাম সিকদার প্রমুখ। অবশ্য দারুণ মুন্সিয়ানার ছাপ রেখে গঠন মূলক বক্তব্য তুলে ধরেন সময়ের সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া মাননীয় পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ গোলাম কবির। আলোচনায় স্থানীয় রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা বলেন, নিঃসন্দেহে যোগ্য প্রার্থী আলহাজ্ব ইসাহাক আলী খান পান্না ভাই। কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। পাশাপাশি পিরোজপুর (২) আসনে রয়েছে দারুণ জনপ্রিয়তা। মতবিনিময় সভার আলোচনায় বক্তব্যে তুলে ধরেন, জেলার মধ্যে অন্যতম শীর্ষ উপজেলা হলেও উন্নয়নে দারুণ অবহেলিত স্বরূপকাঠি উপজেলা । সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আলোচনায় সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, জননেত্রী শেখ হাসিন যাকেই নৌকার টিকেট প্রদান করবেন। দলের প্রয়োজনে সকলেই নেত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রেখে সাপোর্ট দিবেন । তবে সত্যিকার অর্থে আলহাজ্ব ইসাহাক আলী খান পান্না একজন যোগ্য নেতা বটে। চমৎকার ও পরিপাটি পরিবেশ তৈরি করে উপজেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আলোচনার এক পর্যায়ে কাউখালীর কৃত্তি সন্তান স্বরূপকাঠি উপজেলার নয়নের মণি আলহাজ্ব ইসাহাক আলী খান পান্না তার সুন্দর ও চমৎকার বাচনভঙ্গি দিয়ে উপস্থিত সকলকেই মুগ্ধ করেন সময় উপযোগী বক্তব্য প্রদান করে। তিনি তার মার্জিত স্বভাবের মধ্য দিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আর্শীবাদ নিয়ে আমি রাজনীতি করি । নেত্রীর নির্দেশ মোতাবেক পথ চলি। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে জানান। তবে আলোচনার মাধ্যমে স্থানীয় সকল গণ মাধ্যম কর্মীদের জ্ঞাতার্থে বলেন, আমি এক সময়ে সাংবাদিকতার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ ন্যায়ের পক্ষে সঠিক দায়িত্ব নিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরার অনুরোধ করেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে পান্না ভাই আরও বলেন, আমি স্বরূপকাঠি উপজেলার সন্তানও বটে। আমি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। আমার অধিকার আপনাদের উপর বেশি। পাশাপাশি দায়িত্বও অপরিসীম। আমি মহান আল্লাহর নাম নিয়ে নৌকার টিকেট পেলে আমার প্রথম কাজ হবে অবহেলিত স্বরূপকাঠি উপজেলার উন্নয়ন। আমি স্বরূপকাঠি উপজেলাকে একটা রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ। ছারছিনা দরবার শরীফের পূর্ণ ভূমি স্বরূপকাঠি উপজেলা হবে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা। আমি স্বরূপকাঠি উপজেলার কাছে চির ঋনী। তাই ঋণ শোধ করার জন্য জীবন বাজি রেখে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিতে সদা প্রস্তুত। আপনারা সকলেই দোয়া করবেন, আমি যেন আপনাদের সকলের সুনজরে থেকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করে যেতে পারি।