ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশের্^ পন্থিছিলা ও শেখ পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত সীতাকুণ্ড পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়টি। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা-আবর্জনা এ ভাগাড়ে নিয়মিত নিক্ষেপ করায় আবর্জনার দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। অতিষ্ঠ জনসাধারণের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ ভাগাড়টি দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবেশ দূষণ করে যাচ্ছে। বাতাসের গতি বাড়লে ভাগাড়টির ছড়ানো দুর্গন্ধ আশ-পাশের বাড়ি-ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরো করুণ আকার ধারণ করে যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানায় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ছাড়াও রাতের অন্ধকারে দুর-দুরান্ত থেকে বর্জ্য এনে সেখানে নিক্ষেপ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। আবর্জনার দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরবাসীর প্রাণের দাবী ভাগাড়টি অন্যত্র সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নেওয়া হউক। পৌরমেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম বলেন, ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়টি আমি স্থাপন করিনি। আমার পূর্ববর্তী মেয়র ভাগাড়টি সেখানে স্থাপন করে গেছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ভোক্তভূগীরা ভাগাড়টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে জোর দাবী জানিয়ে আসছে। পৌরবাসীদের সমস্যার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাগাড়টি অন্যত্র স্থানান্তরে কাজ করে যাচ্ছি। ৯টি ওয়ার্ডের জনসাধারণের নিক্ষিপ্ত আবর্জনা প্রতিদিন ভোরে ড্রাম্প ট্রাকের মাধ্যমে নিয়মিত অপসারণ করা হচ্ছে। আর ভাগাড়ে স্কেভেটর দ্বারা নিয়মিত বালি ও জীবানুনাশক পাউডার ছিটানো হয়। যাতে দুর্গন্ধ অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে। একথা সত্য যে, নগরায়ন-শিল্পায়ন আর উন্নয়নের প্রভাবে সীতাকুণ্ড পৌর এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনবসতি। সাথে পাল্লা দিয়ে সমহারে বাড়ছে ব্যবহৃত বর্জ্য। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে স্থায়িত্ব ও টেকসই পরিকল্পনার বিষয়টি বিবেচনায় ভাগাড়ের পরিধি আরো বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছি। তাতে প্রয়োজন সুবিধাজনক যাতায়াত সহ বড় আয়তনের জায়গা। পৌর এলাকার পাহাড় সংলগ্ন একটি জায়গা ভাগাড়ের জন্য প্রস্তাবনা থাকলেও পরিদর্শন শেষে স্থানটির স্বল্প আয়তন ও যাতায়াতে তেমন সুবিধা না থাকায় পরবর্তীতে আর সেখানে ভাগাড় স্থানান্তর সম্ভব হয়নি। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে বাকি মেয়াদে এ কঠিন কাজটি সফল ভাবে করতে পারব বলে আমি আশাবাদী।