রাজনীতির মাঠে কেহ হয় হিরো,আবার কেহ হয় জিরো” আর সেই ধরনের ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে পিরোজপুর-২ আসন থেকে নেছারাবাদ উপজেলাকে দুই আসনের মধ্যে সম্পৃক্ততা করে। যদিও স্বরূপকাঠি উপজেলার প্রধান দাবী ছিল” একক আসনের। পরবর্তী সময়ে নেছারাবাদ ও কাউখালি উপজেলা নিয়ে আসন বন্টন করার দাবি জানান। কিন্তু সকল জল্পনা কল্পনা ছাড়াই অবশেষে স্বরূপকাঠি-কাউখালি ও ভান্ডারিয়া নিয়ে পিরোজপুর-২ আসন গঠিত হয়।অবশ্য বিগত সময়েও একবার এই তিন উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসনে পিরোজপুর-২ আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার প্রধান অভিভাবক অধ্যক্ষ শাহ আলম স্যার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়। এদিকে ক্ষমতার পালাবদলে আবারও নাটক শুরু হয় স্বরূপকাঠি উপজেলাকে নিয়ে। যদিও স্বরূপকাঠি উপজেলার বেশির ভাগ ভোটাররা পিরোজপুর-১ আসনে থাকার পক্ষে নয়। তারপরও সর্বশেষ আসন নিয়ে আবারও সেই একই সুর। অর্থাৎ ভান্ডারিয়া-কাউখালি ও স্বরূপকাঠি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-২ আসন। এদিকে নুতন করে আসন বন্টনের বদৌলতে সবচেয়ে লাভবান হবে আওয়ামী লীগের সাথে মহাজোট প্রার্থীরা। কিন্তু ক্ষতি হলো আওয়ামী লীগের একক প্রার্থীদের। অবশ্য স্থানীয় রাজনীতির মাঠে স্বরূপকাঠি উপজেলার লাভ হবে বিএনপির জন্য। স্থানীয় ভাবে বি এন পি থেকে প্রার্থী হওয়া শতভাগ নিশ্চিত বলা যায়। ভোট ব্যাংকের হিসেবে স্বরূপকাঠি উপজেলা এগিয়ে। আর সেই কারণে উপজেলা বিএনপির জন্য আর্শীবাদ বয়ে আনতে পারে প্রার্থী যাচাই বাছাইয়ে।আর সেই কারণে নিঃসন্দেহে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে বিএনপির নেতা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদের কর্মদক্ষতা ও নেতৃত্বের পুরস্কার স্বরূপ ভাগ্যদেবী অনুকূলে নিয়ে আসবে হয়তো। সুশীল সমাজের লোকজনও সহমত পোষণ করেন, অন লাইন স্বরূপ টিভি বাংলার সাথে। পাশাপাশি প্রিন্ট মিডিয়ার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন নিঃসন্দেহে স্বরূপকাঠি উপজেলার গর্ব বিএনপির নেতা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ। যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে বিগত সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়। আওয়ামী লীগের সময়ে নির্বাচিত হওয়া দারুণ কারিশমার ব্যাপার। আর সেই কারণে মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ কাউখালি-ভান্ডারিয়া ও স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্যতম।রাজনৈতিক দুরদর্শিতার মাপকাঠি দিয়ে সবাইকে ছাপিয়ে অনেক উঁচু স্থানে রয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ কর্মীরা অকপটে বলেন, বিএনপির নেতা ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ শুধু স্বরূপকাঠি উপজেলার জন্য নয়, বরং পিরোজপুর দুই আসনের মধ্যে যোগ্য প্রার্থী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহু নেতারাও সহমত পোষণ করেন। স্থানীয় স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ আর আওয়ামী লীগের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মাইদুল ইসলাম মুহিত অন্যতম সেরা। পাশাপাশি আরও বহু যোগ্য প্রার্থী আছেন কিন্তু। আসলে সার্বিক বিচার এগিয়ে স্বরূপকাঠি উপজেলা বি এন পির প্রার্থীরা। কাউখালি উপজেলার মধ্যে শক্তিশালী প্রার্থী নেই। অবশ্য ভান্ডারিয়ায় সাবেক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম মঞ্জুর ছেলে কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাশী। পাশাপাশি মনোনয়ন দৌড়ে ভান্ডারিয়া থেকে মাহমুদ হোসাইনও দারুণ লাইম লাইটে। তবে স্বরূপকাঠি উপজেলা বিএনপির মধ্যে প্রার্থীর ছড়াছড়ি।ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ ফকরুল আলম, আলহাজ্ব ফকির নাসির উদ্দিন, আলহাজ্ব আল বেরুনী সৈকত, কৃষিবিদ মোঃ সিরাজুন্নবী মামুনও রয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে। এব্যাপারে কথা হয় স্বরূপকাঠি উপজেলার গর্ব এবং চৌকস নৈপুণ্যের অধিকারী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদের সাথে। তিনি অকপটে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি আমার সততা, আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের ফল পাচ্ছি সব সময়ে । বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বদৌলতে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করার মিশনে ছিলাম স্বরূপকাঠিতে। স্থানীয় রাজনীতির মাঠে আমার বিষয়ে সকলে অবগত। আজ আমি স্বরূপকাঠি উপজেলা বি এন পির আহবায়ক। আসন বন্টনের বদৌলতে আমরা পিরোজপুর দুই আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থীর দাবিদার। দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তবে নুতন প্রজন্মের সন্তানেরা সহ প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে শ্লোগান উঠেছে আমাকে নিয়ে। মনোনয়ন পাওয়ার জোর দাবিদার হিসেবে সাধারণ কর্মীরা সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আমার সম্মতি চায়।আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে বলবো,” জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। তাই জনগণের চাওয়ার কথা চিন্তা করে একটি কথাই আবারও বলবো, স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে প্রার্থী হোক। ভোটের হিসেবে কাউখালি ও ভান্ডারিয়ার চেয়ে আমরা স্বরূপকাঠি উপজেলা এগিয়ে। তাই স্বরূপকাঠি উপজেলার প্রধান্য বেশি থাকবে। কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সঠিক দায়িত্ব পালন করবেন স্বরূপকাঠি উপজেলার জন্য। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় ভোটারের জোরালো দাবি, যোগ্যতার বিচারে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ অন্যতম দাবিদার। অবশ্য ধানের শীষের চূড়ান্ত টিকেট পাওয়া নিয়ে জোর লবিং শুরু হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের জন্য।আর সার্বিক বিবেচনায় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে শতভাগ যোগ্য মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ।