রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ অপরাহ্ন

ফিলিস্তিনিদের আচমকা জ্বলে ওঠা ইসরায়েলের সামরিক ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক বিপর্যয়

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত: লাশের মিছিল বাড়ছে 
ফিলিস্তিনিদের আচমকা জ্বলে ওঠাকে ইসরায়েলের জন্য বিশাল সামরিক ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক বিপর্যয় বলা যেতে পারে। মাত্র কদিন আগেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দম্ভভরে বলে এসেছেন, ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে তাঁরা আরব অংশীদারদের নিয়ে নতুন একটি মধ্যপ্রাচ্য গড়বেন।
বেনিয়ামিন তাঁর কল্পিত নতুন মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে পুরোপুরি মুছে ফেলেছিলেন। কিন্তু সেই দম্ভোক্তির রেশ কাটতে না কাটতেই ফিলিস্তিনিদের আকস্মিক আক্রমণ তাঁর ও ইসরায়েলের ওপর রাজনৈতিক ও কৌশলগত বড় আঘাত হয়ে নেমে এসেছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে লাশের মিছিল বাড়ছে। ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের হামলায় প্রায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে অপহরণের জবাবে রোববার গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। এতে উভয়পক্ষের ১ হাজার ১০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। ইসরায়েলের সেনবাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হামলায় অন্তত ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেবল একটি সংগীত উৎসবে হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬০ জন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, হামাসের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষবস্তু লক্ষ্য করে বেশকিছু বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে জাবালিয়া এলাকার একটি মসজিদও রয়েছে যেটিকে হামাস যোদ্ধারা আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহার করতো। এছাড়া হামাস নেভাল ফোর্সের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভবনেও হামলা চালায় ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে হামাসের আক্রমণের মধ্য দিয়ে কয়েক যুগ সময়ের ভেতর সবচেয়ে বড় ধরনের সহিংসতার সূত্রপাত হয়। গত রোববার (৮ অক্টোবর) রাতেও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের লক্ষবস্তুতে একে পর এক রকেট এসে আঘাত করে। এসব রকেট ছোড়া হয় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি অবস্থানগুলো থেকে। জাতিসংঘ জানিয়েছে সংঘাতে এক লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধে ব্যর্থ নিরাপত্তা পরিষদ: ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরাইলের চলমান লড়াইয়ের জেরে জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে তারা ঐক্যমত্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। গত রোববার (৮ অক্টোবর) এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানোনো হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যকে হামাসের কঠোর নিন্দা করার জন্য আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে কূটনীতিকরা বলেছেন যে- রাশিয়ার নেতৃত্বে সদস্যরা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিন্দা করার চেয়ে বৃহত্তর ফোকাস আশা করছে।
নিরাপত্তা পরিষদ প্রায় ৯০ মিনিটের জন্য বৈঠক করে। জাতিসঙ্ঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েনেসল্যান্ড কাউন্সিলকে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য ব্রিফ করেন। নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকটি প্রথমে ইউএনএসসির বর্তমান সদস্য মাল্টা দ্বারা ডাকা হয়েছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও ব্রাজিল পরে তাদের সমর্থন যোগ করে। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান ১৫ সদস্য স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৩টায় নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে বৈঠকে অংশ নেয়। উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, শনিবার সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করেছে।
গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১৩: ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে লড়াইয়ে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৪১৩ জন মারা গেছেন। গতকাল সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানোনো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে- কমপক্ষে ৪১৩ জন মারা গেছে, যার মধ্যে ৭৮ জন শিশু রয়েছে এবং ২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, এর মধ্যে আটটি পরিবারের সবাই মারা গেছে এবং ৫৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছে। এদিকে, জাতিসঙ্ঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় জানিয়েছে যে- অবরুদ্ধ ছিটমহলের ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ইসরাইলি গোলাগুলির কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করেছে। হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যখন ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে, তখন রুদ্ধদ্বার জরুরি অধিবেশন শেষ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু এ ইস্যুতে তারা একটি যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলেছে, হামাসের কয়েক হাজার রকেট হামলা থেকে শুরু করে যুদ্ধে কমপক্ষে ১৪১৩ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইল একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করে ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় অবিরাম বোমা হামলা চালাচ্ছে।
এমন অবস্থায় নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি অধিবেশনে বসে। সেখানে পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতি হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানানোর আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের কাছে মার্কিন সিনিয়র কূটনীতিক রবার্ট উড বলেন, হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছে বেশ কিছু দেশ। তবে স্পষ্টতই সবাই নিন্দা জানায়নি। তাদের সম্পর্কে আমি কিছু না বললেও সম্ভবত আপনারা তাদের একটি দেশকে চিনতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাশিয়ার দিকে ইঙ্গিত করেন। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলে প্রায় ৯০ মিনিট বা দেড় ঘন্টা। এতে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শান্তির দূত টোর ওয়েন্সল্যান্ডের ব্রিফিংয়ের ওপর শুনানি হয়। কূটনীতিকরা বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর চেয়ে রাশিয়ার সদস্যরা তাদের দেশের ওপর ব্যাপক নজর দেয়া হবে বলে আশা করছিলেন। নিরাপত্তা পরিষদে যেকোনো প্রস্তাবে যৌথ বিবৃতির জন্য প্রয়োজন সর্বসম্মত মত। জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া পরিষদে বলেছেন, আমার বার্তা হলো অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। অস্ত্রবিরতি করতে হবে। অর্থপূর্ণ সংলাপ হতে হবে। দশকের পর দশক ধরে এই কথাটিই বলা হয়েছে। অনিষ্পন্ন এই ইস্যুগুলোর আংশিক ফল এই যুদ্ধ।
২০০২ সালে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা বলেছে, এই সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আরও বৈঠক প্রয়োজন। দেশটির রাষ্ট্রদূত লানা জাকি নুসেইবে বলেন, আমি মনে করি প্রত্যেকেই বুঝতে পারছেন পরিস্থিতি ভয়াবহ উদ্বেগের। নিরাপত্তা পরিষদের অনেক সদস্যই বিশ্বাস করেন এই সংকটের ফাইনাল সমাধান হলো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। তবে এই মিটিংয়ে যোগ দেননি ইসরাইল বা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কেউ। তবে ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের জন্য কূটনীতিকদের দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলো যখন ইসরাইলিরা মারা যান, তখন কিছু মিডিয়া এবং রাজনীতিক কথা বলা শুরু করেন। তিনি আরও বলেন, এটা সেই সময় নয় যখন ইসরাইলকে তার ভয়াবহতা দ্বিগুন করতে অনুমতি দেয়া যায়। এটা সেই সময়, যখন ইসরাইলকে তার পথ পরিবর্তনের জন্য বলা উচিত। তাদেরকে বলা উচিত শান্তির একটি পথ আছে। তাতে কোনো ফিলিস্তিনি বা ইসরাইলি নিহত হবেন না।
ইসরাইলকে সমর্থন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেনের অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি চায় রাশিয়া, চীন: হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইলকে কঠিন ও অটল সমর্থন দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই অঞ্চলে এ জন্য যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলেছে, ইসরাইলকে অতিরিক্ত অস্ত্রশস্ত্র দেয়া হবে। একই সুরে কথা বলেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনিও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অটল সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন- সাহায্য করতে আমরা যা পারি, তার সবটাই করবো। সন্ত্রাসের জয় হবে না। অন্যদিকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিস্তৃত, টেকসই ও দীর্ঘপ্রতিক্ষিত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। চীনও উভয় পক্ষকে সহিংসতা এবং অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ‘দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান’ পুনর্ব্যক্ত করেছে। এর মধ্যে থাকবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। গত শনিবার হামাস ইসরাইলে কয়েক হাজার রকেট হামলা চালিয়ে এক হাজারের বেশি মানুষ হত্যার পর ভয়াবহ প্রতিশোধ নিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি গাজাকে নির্জন দ্বীপে পরিণত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। এর অর্থ গাজা উপত্যকাকে পুরোপুরি ফিলিস্তিনিমুক্ত করে ইসরাইলের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা।
এমন প্রেক্ষাপটে রোববার হামাসের সমর্থনে ইসরাইলে গুলি ও রকেট হামলা চালিয়েছে আরেক যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতে ইসরাইল ও তার বিরোধী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্যাপক আকারে এক আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওদিকে ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে ইরান- এমন কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। তিনি সতর্ক করেন এই বলে যে, বছরের পর বছর ধরে ওই অঞ্চলকে বিপন্ন করার জন্য অবশ্যই ইসরাইলকে জবাবদিহি করতে হবে। তবে জাতিসংঘে ইরান মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের ভিতরে হামাসের আকস্মিক রকেট হামলার সঙ্গে ইরান জড়িত নয়।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি দৃঢ়তার সঙ্গে অকুণ্ঠ সমর্থন জানাই। ফিলিস্তিনিরা জবাবে যেটা করেছে তার সঙ্গে আমরা জড়িত নই। রকেট হামলা করেছে ফিলিস্তিন নিজেরাই। সাত দশক ধরে যে নিষ্পেষণমূলক দখলদারিত্ব ও হায়েনার মতো অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার পূর্ণাঙ্গ বৈধ অধিকার আছে ফিলিস্তিনিদের।
ফিলিস্তিনিদের পক্ষে পশ্চিমাদের কঠোর বার্তা দিল সৌদি: ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। এ সময় ফিলিস্তিনের বেসামরিক নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইসরায়েল যেন কোনো হামলা না চালায় তার ওপর জোর তিনি। গতকাল শনিবার সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর আরব নিউজ। গত শনিবার ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং ইইউ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের সঙ্গে পৃথকভাবে ফোনালাপ করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন প্রিন্স ফয়সাল এবং উভয়পক্ষকেই আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য এবং সহিংতা এড়ানোর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা চালাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ছাড়াও কাতার, মিশর ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com