সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়ার শিবগঞ্জে আলু বীজ বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট! কুড়িগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হস্তশিল্পের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ভাগ্য বদলে গেছে নারী উদ্যোক্তা রাজিয়ার তারাকান্দায় শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ চকরিয়ায় সামাজিক বনায়ন উদ্ধারে মানববন্ধন ও র‌্যালি বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক পরিষদের ২০২৪ বিদায় উপলক্ষে সভা বীরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা বিএনপি সভাপতির মতবিনিময় সভা পাঁচবিবিতে কোয়েল পাখি পালনে হাসানের মাসে আয় লক্ষাধিক টাকা মোংলার মাটিতে কোন ফ্যাসিস্টদের ঠাঁই হবে না-সমন্বয়ক মোল্ল্যা রাহমাতুল্লাহ সিংড়ায় আমি মধ্যবিত্ত কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন মুক্তির ডাক ৭১: নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

আইএমএফের সহায়তা না-ও মিলতে পারে: রেহমান সোবহান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩

বর্তমান বাস্তবতায় রিজার্ভ যদি ১০ বিলিয়ন ডলারে চলে আসে সেটা উদ্বেগের কারণ হবে। তখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা না-ও করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
গতকাল সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) এক অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান এসব কথা বলেন। এতে শিরোনাম ছিল ‘অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সঙ্গে সংলাপ’। এই অর্থনীতিবিদ বলেন, কাঁচামাল আমদানির এলসি করতে গেলে ব্যাংক বলছে তাদের কাছে যথেষ্ট ডলার নেই। শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু বিএমডব্লিউ গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকের একই ধরনের মানসিকতা দেখা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বিকল্প উপায়ে হলেও রেমিট্যান্স বাংলাদেশে আসছে। যাদের অর্থ পাবার কথা তারা পাচ্ছে। যে কারণে সামষ্টিক অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়ছে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি এখন হুন্ডিতেও ডলারের একটি বড় রিজার্ভ তৈরি হয়েছে। এর ফলে অর্থ পাচারের সুযোগ বাড়বে।
দেশের রিজার্ভ এখন যা আছে, তার চেয়ে কমে গেলে বিপদ হতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকলে একসময় যদি তা ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে, সেই সময় এমন হতে পারে যে আইএমএফের সহায়তা পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের রিজার্ভ যেভাবে ধারাবাহিকভাবে কমছে, তার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মিল খুঁজে পান রেহমান সোবহান।
যদিও তিনি মনে করেন যে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিঃসন্দেহে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বড় একটি রপ্তানি খাত আছে। সেই সঙ্গে আছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়, যা শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক বেশি।’ সে কারণে তিনি বিশ্বাস করেন না, বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কখনো শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে।
শীর্ষস্থানীয় এই অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের আর্থিক খাতের সংস্কৃতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। ঋণ নেওয়ার পর ফেরত না দেওয়াটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। এটা করার জন্য বড় ব্যবসায়ী নয়; বরং যারা এসব করছেন, তাঁরা নিজেদের বড় রাজনীতিক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, নীতি-নির্ধারকদের এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আগে বিএমডব্লিউ গাড়ি আমদানি করবে না কি ডিম কিংবা সার আমদানি করবে।ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com