অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্য, আহত ও বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের নিয়ে আজ বাগেরহাটের মোংলাশ ‘জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৩টায় মোংলা হোটেল টাইগারে ভবনের এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফ্যাসীবাদ ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নে বিপ্লবী ছাত্রজনতার সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোল্ল্যা রহমাতুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব অধ্যাপক মোঃ কোহিনুর সরদার, সহকারী পুলিশ সুপার মংলা সার্কেল শফিকুর রহমান তুষার, নাগরিক কমিটি মোংলার প্রতিনিধি জনাব পলাশ আহমেদ, জামাত নেতা আনিছুর রহমান, শ্রমিক নেতা কে এম শাহাবুদ্দিন সাবেক ছাত্রনেতা জনাব মুস্তাইন বিল্লাহ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মোংলা প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেদী হাসান শুভ, মোঃ জিহাদুল ইসলাম তন্ময়, মোঃ ইব্রাহিম শেখ,শাহরিয়ার নিপুণ, মিজানুর রহমান মুন্নাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা। বক্তৃতায় বক্তারা বলেন ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দুই হাজারের অধিক শহিদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দিব না। বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নেতা মোল্লা রহমতুল্লাহ বলেন, যারা আহত কিংবা শহিদ হয়েছে, তারা এদেশের শাসক হতে চায়নি; তারা দেশের মানুষ খাদ্যের অধিকার চেয়েছে, শিক্ষার অধিকার চেয়েছে, কথা বলার ও বেঁচে থাকার অধিকার চেয়েছে। আগামীর বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে জুলাই অভ্যূত্থান এর শহিদদের আকাংঙ্খাকে ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে। এতদিন শাসক ও ব্যবসায়ীরা রাজনীতির কাঠামো নির্ধারণ করেছে, এখন থেকে এই গেইমের নিয়ামক আপনারা, আমরা, তথা জনগণ ঠিক করবে; এটাই আমাদের নতুন রাজনীতি।