পটুয়াখালীর দশমিনায় মো. কাওসার নামে এক প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামের এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে সাবেক,বর্তমান শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে প্রায় শতাধিক লোক উপস্থিত হয়ে ঘন্টব্যাপি মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দশমিনা সদর ইউনিয়ন সেবক লীগের সম্পাদক গাজী সাইদুর রহমান,মো. সবুজ ও এসহাক প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, সোমবার উপজেলার এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির টেষ্ট পরীক্ষা চলছিল। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কাওসার বিদ্যালয়ের প্রক্তন সহকারী শিক্ষক গোপাল চক্রবর্তীর ছেলে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তন্ময় চক্রবর্তীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের তার অফিস কক্ষে পরীক্ষার ফিসের জন্য ঢেকে পাঠান। তন্ময় তক্রবর্তী অর্থাভাবে বিদ্যালয়ের ফিস দিতে না পারায় তাকে প্রধান শিক্ষক কাওসার বিভিন্ন কথার প্রসঙ্গ টেনে বকা দেন ও মারধর করেন এবং ঘটনার দিন তাকে তথ্য-যোগাযোগ পরীক্ষায় অংশ নিতে দেননি। পরে অপমান সইতে না পেরে লজ্জায় তন্ময় গ্যাট ট্যাবলেট পানে আত্মহত্যা করেন। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, এরআগেও একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনা ঘটে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা তদন্ত করে প্রধান শিক্ষককে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। অভিযোগের বিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কাওসারের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে, তিনি তার আগের এক বক্তব্য বলেন, তিনি ওই শিক্ষার্থীকে মারধর ও অপমান করেননি। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।