গত ৭ অক্টোবর হামাসের সীমান্তে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ব্যাপক হামলায় ধ্বংসযঞ্জে পরিণত গাজায় প্রতিদিন প্রায় এক শ’ ট্রাক মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হবে। জাতিসঙ্ঘের একটি সূত্র বুধবার এ কথা জানিয়েছে। জাতিসঙ্ঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস সিএনএন ইউরোপকে বলেন, আমাদের প্রতিদিন এক শ’ ট্রাক মানবিক সহয়তা রাখতে হবে। তাই বিপুল সংখ্যক ট্রাক গাজায় প্রবেশ শুরু করা দরকার। খবর এএফপি’র।
তিনি আরো বলেন, হামাসের হামলার পর গত দুই সপ্তাহের তীব্র সহিংসতায় ইসরাইলে প্রায় এক হাজার চার শ’ জন নিহত এবং ইসরাইলের পাল্টা হামলায় গাজায় প্রায় তিন হাজার পাঁচ শ’ লোক মারা যাওয়ার ঘটনার আগেও গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সমপরিমাণ পাঠানো হতো।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহায়তা পাওয়ায় গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তে গাজা-মিসর সীমান্তের রাফা সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করার ইসরাইলি আশ্বাস পেয়েছেন ঘোষণা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে গ্রিফিথস বলেন, ’সুতরাং প্রথমত, আমাদের প্রতিদিন, স্বেচ্ছায় নির্ভরযোগ্য প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত নিরাপদে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমাদের গাজা-মিসর সীমান্তের রাফা সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে সক্ষম হতে হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ‘সাহায্যের অপরিহার্য কর্মসূচি’ শুরু হতে পারে বলে তিনি আশ্বাস দেন। গ্রিফিথস বলেন, ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের উন্নয়নে জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থাসহ (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজা উপত্যাকায় প্রায় ১৪ হাজার কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। এই সপ্তাহে চারটি বোমা হামলার পর ফিলিস্তিনের রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়ায় সিনাই মরুভূমিতে আপাতত কয়েক টন ত্রাণ আটকা পড়ে আছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এর আগে বলেছে, ইসরাইল মিসরের মাধ্যমে খাদ্য, পানি ও ওষুধের আকারে মানবিক সহায়তা আসতে বাধা দেবে না। ২৪ লাখ লোকের বাসস্থান গাজার নিয়ন্ত্রক হামাস ব্যতিরেকে বেসামরিক জনগণের কাছে সাহায্য পৌঁছবে বলে জোর দেন গ্রিফিথস।