দেশের রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তদের জন্য পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ও অনুকরণে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সাধু লিওর খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে স্থাপন করা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ তীর্থস্থান। প্রতিবছর শান্তিপূর্ণভাবে তীর্থযাত্রা সুসম্পন্ন করায় এ তীর্থস্থানে দেশি-বিদেশি তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ তীর্থস্থানটিকে আন্তর্জাতিক তীর্থস্থানে রূপান্তরিত করতে স্থাপন করা হয়েছে ৪৮ ফুট উঁচু মা মারিয়ার মূর্তি। এ ছাড়া যিশু খ্রিস্টের দুটি বড় ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে এখানে। আগামী ২৬ ও ২৭ অক্টোবর শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক তীর্থ উৎসব। এবারের তীর্থ উৎসবের মূল সুর ‘সিনোদিও ম-লীতে মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রানী মা মারিয়া।’ রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৯৮ সালে পাহাড় ঘেরা বৃহৎ এলাকায় মনোরম পরিবেশে এ তীর্থস্থানটি স্থাপন করা হয়। ময়মনসিংহ খ্রিস্ট ধর্ম প্রদেশের তৎকালীন প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ. গমেজ বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান হিসেবে ঘোষণা করেন। তীর্থোৎসব পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কার্তি রোজ চিরান বলেন, এবারের তীর্থোৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুড়া ক্যাথলিক ডাইসিসের একটি ধর্মপল্লীর পালপুরোতি রেভারেন্ট ফাদার টমাস মানকিন। বিশেষ অতিথি থাকবেন ময়মনসিংহ খ্রিস্ট ধর্ম প্রদেশের বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই গত ২৪ বছর ধরে আমাদের তীর্থোৎসবে ব?্যাপক প্রশাসনিক নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য। এবিষয়ে সাবেক ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের নেতা লুইস নেংমিনজা জানায়, কঠোর নিরাপত্তায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে দেশী-বিদেশী হাজার -হাজার ধর্মাবলম্বী শিশুসহ নারী-পুরুষ এ তীর্থোৎস জমজমাট ভাবে পালন করে থাকে। অতিতের মতো এবারোও সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করছি।