দিনভর নানা আচার অনুষ্ঠান পালনের মধ্যে দিয়ে সূর্যগিরি আশ্রম সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে পালন করা হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার মহানবমী। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে। এই দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ পরের দিন কেবল বিসর্জনের পর্ব। নবমীর রাতে উৎসবের রাত শেষ হয়। নবমী রাতে তাই ম-পে ম-পে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে। কারণ পরদিন দেবী দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে। মহানবমীর রাতে সূর্যগিরি আশ্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। এসময় তিনি বলেন- আগে দূর্গাপুজা পালন করতে ভয় পেলেও এখন তা না থাকায় ফটিকছড়িতে পূজা ম-পের সংখ্যা বেড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এক দৃষ্টান্ত। ফটিকছড়িতে দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য উপজেলা পরিষদ এবং প্রশাসন সজাগ ছিল। আমরা আশা করি হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মালম্বীরা আগামিতে নির্ভয়ে নৌকায় ভোট দিবেন। এসময় তিনি সূর্যগিরি আশ্রমের জন্য ১লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। পূজায় প্রধান আলোচক ছিলেন- সাজেদা আনোয়ার ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও আমেরিকা প্রবাসী মো.আনোয়ার হোসেন। এসময় তিনি বলেন- আমাদের দেশে প্রতিটি ধর্মের মানুষের মধ্যে একে অপরের প্রতি যে সম্প্রতির বন্ধন, যে শান্তি এটি কোথাও পাওয়া যাবেনা। আমি সব জায়গায় একটাই কথা বলি- আমার জাতির কোন শিশু শিক্ষার বাইরে থাকবে না। সূর্যগিরি আশ্রম শিক্ষা নিয়ে কাজ করে এজন্য আজকের পূজোর আনন্দে এ আশ্রমের ১০জন শিক্ষার্থীকে আমি শিক্ষা বৃত্তি (নগদ অর্থ) প্রদান করছি। ডা. বরুণ আচার্য বলাইয়ের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা, মাষ্টার রতন চৌধুরী, ইঞ্জি. গোলাম নওশের আলী চৌধুরী, রতন কুমার, অর্চনা রাণী আচার্য, তরুণ কুমার আচার্য, কৃষ্ণকলি আচার্য, অরুণা আচার্য প্রমুখ।