মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত বদলে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের আজীবন দাতা সদস্য মাসুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে দোয়া ও আলোচনা সভা শেরপুরে বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে ওয়ালটন গ্রুপ বাগেরহাটে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা নওগাঁয় বিশ্ব মান দিবস পালিত ফুলপুরে বন্যার পানি কমছে ধীরে গতিতে ভাসছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র কুড়িগ্রামে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পিটিআই এর ৬ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ ফটিকছড়িতে বাবা ভান্ডারীর খোশরোজ শরীফে লাখো ভক্তের ঢল ৫ গ্রামের জলাবদ্ধতা, মঠবাড়িয়ায় সুইসগেট নির্মাণের দাবীতে কৃষকদের মানববন্ধন মোংলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি প্রচারে ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম গঠিত

ফকিরহাটে আখ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

বাগেরহাটের ফকিরহাটে বিভিন্ন প্রজাতির আখ চাষ করে এবার সাফল্যের মুখ দেখছেন আখচাষিরা। এই আখ চাষ করে লাভবান হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। গেন্ডারি, মিশ্রি দানা, চায়না বোম্বাই, জা?তের আখ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে এ বছর স্বাবলম্বী হয়েছেন অধিকাংশ কৃষক। স্বল্প ব্যয়ে এবং আখের সাথে অন্য ফসল চাষ করে অধিক লাভবান হওয়াতে উপজেলায় এ চাষে আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফকিরহাটে ৮ ইউনিয়নে মোট ২’শ আখ চাষী রয়েছেন। বর্তমানে এখানে ২০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হচ্ছে। ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় আন্ত ফসল সবজি চাষের পাশাপাশি কৃষকরা আখ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আট্টাকা গ্রামের কৃষক মো. জাহাঙ্গির হোসেন জানান, তিনি প্রায় এক একর জমিতে এবার আখের চাষ করেছেন। এই চাষ করতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ৬০ থেকে ৭০হাজার টাকা। কিন্তু কোন সমস্যা না হলে ওই জমির আখ বিক্রি করে তিনি দুইলক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন বলে জানান। যদিও এখনো তিনি আখ বিক্রি শুরু করেননি। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও সার্বিক সহযোগিতায় এই আখ চাষ করছেন বলে জানান তিনি। জাহাঙ্গিরের মত অনেক কৃষক এখন আখ চাষ করছেন। নলধার কৃষক রেজাউল ইসলাম সহ কয়েকজন কৃষক জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এর আগে আখ চাষে এতো আগ্রহ ছিলনা। যখন জানলেন আখ রোপন করার পর এর মধ্যে বিভিন্ন সবজি চাষ করা যায়। তখন থেকে তারা আখ চাষ শুরু করেছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেবরাজ বালা জানান, কৃষি বিভাগ থেকে এসব আখ চাষীদের আখ গাছ, সার সহ সকল প্রকার সহযোগিতা করা হয়। এছাড়া তাদের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বর্তমানে আট্টাকা, কাঠালতলা, পিলজংগ ও নলধা ব্লকে আখ চাষ হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। বর্তমানে কৃষকরা আখ কাটতে ও বাজারে বিক্রি করতে ব্যস্ত রয়েছেন। এদিকে নলধা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাশ জানান, অনেকে আখ কেটে বিক্রি শুরু করেছেন। বাজারে ভাল দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে কৃষকদের মূখে হাসি ফুটেছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা করে থাকে। পাশাপাশি যারা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আছেন তারা এগুলো দেখভাল করেন। যাতে কোন কৃষক আখ চাষ করে লোকসানে না পড়েন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আখের চারা রোপণের ১০ থেকে ১৪ মাস পর থেকে বিক্রির উপযোগী হয়। আখের চাষের পাশাপাশি আন্ত ফসল বিভিন্ন সবজি চাষ করা যায়। বিষয়টি জানার পর থেকে অত্র উপজেলায় আখ চাষে আগ্রহী হয়েছেন কৃষকরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com