লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লাউ চাষি হাফিজ ভূইঁয়া। তার বাড়ি সংলগ্ন ১৫ শতাংশ জমিতে দেশীয় পদ্ধতিতে ‘লাল তীর জায়না’ জাতের লাউ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তিনি। জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় কুড়িপাইকা গ্রামের লাউ চাষি হাফিজ ভূইঁয়া। তার এ সফলতা দেখে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসে দেখছেন এবং লাউ চাষ করতে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়ায় তিনি বেশ খুশি।
কৃষক হাফিজ ভূঁইয়া জানান কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় দেশীয় পদ্ধতিতে গত প্রায় ২ মাস আগে ৫ শতাংশ জমিতে লাউ আবাদ করি। লাউ আবাদে জমি তৈরি, বীজ ক্রয়, চারা রোপণ, জমি বেড়া দেওয়া আগাছা পরিষ্কার ও শ্রমিকসহ প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করায় চারা রোপণের প্রায় ৪৮ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসতে শুরু। এরপর প্রায় ১০-১২ দিনের মধ্যে ঐসব লাউ পরিপক্ক বা খাওয়ার উপযুক্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ পযর্ন্ত আমি ১০ হাজার টাকার উপর লাউ বিক্রি করেছি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ জায়গা থেকে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার উপর লাউ বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
গত ৫ বছর ধরে লাউ চাষ করছেন হাফিজ। বর্তমানে তিনি নিজেই ঐসবের পরিচর্যা করছেন। পাশাপাশি একজন শ্রমিক তার এখানে কাজ করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, মাচাঁয় থাকা সবুজ লাউয়ের প্রতিটি ডগায় সাদা ফুলের সম্ভার। মাচার নিচে ঝুলছে শত শত লাউ। পোকা ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে লাউ ক্ষেতের সুরক্ষায় চারপাশে দেওয়া হয়েছে কাপড়ের বেড়া। পাশাপাশি চলছে পরিচর্যা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মালচিং পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। এ পদ্ধতিতে লাউ উৎপাদনে সাধারণত অন্যান্য ফসলের তুলনায় পরিশ্রম কমও ফলন ভালো হচ্ছে। এসময় তিনি আরও বলেন এ পদ্ধতিতে লাউ উৎপাদনে করে সফলতা পেয়েছে লাউ চাষি হাফিজ ভূইঁয়া।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা জানান, উপজেলা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক লাউ চাষিদেও সঙ্গে সর্বাক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। প্রয়োজন মতো সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে।