বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন বলেছেন, তত্ত্ববধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন সাংগ্রাম চলছে। চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার জনগণের উপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে। তারা আজ পুরো বাংলাদেশকে কারাগারে পরিনত করেছে। সরকার গ্রেফতার করে, হামলা চালিয়ে, ভয়ভীতি দেখিয়ে আন্দোলন দমনের ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারের নিষ্ঠুর নির্যাতনে মজলুম জনতার পিঠ দেয়ালে গিয়ে ঠেকেছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে, জুলুম-নির্যাতন ও দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই জনগণ তার দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবে ইনশাআল্লাহ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে হরতালের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতের নিবন্ধন মামলায় ন্যায়ভ্রষ্ঠ রায় ও ফরমায়েশি একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবং জালেম সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আজকের হরতালের সমর্থনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মিছিল, পিকেটিং ও সড়ক অবরোধ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য এম এ রহিম, সাদেক বিল্লাহ, নওশের আলম ফারুক, রাসেল মাহমুদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ড. মোবারক হোসাইন বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার অতীতের মতো ছলেবলে কৌশলে আবারো ক্ষমতা দখলের জন্য প্রহসনের নির্বাচন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, একতরফা প্রহসনের নির্বাচন এদেশের মানুষ আর মেনে নিবে না। যেকোনো পাতানো নির্বাচনকে জনগণ প্রতিহত করবে, ইনশাআল্লাহ। জনগণ নিজেদের অধিকার আদায়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আর ঘরে ফিরে যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন নিশ্চিত করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়াও আজকের হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের মিছিল ও পিকেটিং অনুষ্ঠিত হয়।
মুগদায় মিছিল ও পিকেটিং :বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে হরতালের সমর্থনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুগদায় মিছিল ও পিকেটিং করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমানের নেতৃত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মতিউর রহমান, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা সোহেল রানা মিঠু, বনি ইয়ামিন, এম আর জামান, অ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ডেমরায় মহাসড়ক অবরোধ, মিছিল ও পিকেটিং : কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি দেশব্যাপী হরতালের সমর্থনে রাজধানীর ডেমরায় মহাসড়ক অবরোধ, মিছিল ও পিকেটিং করেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের নেতৃত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম. ডি আলী, আবু মিধহাত, আবুল বাসার, দেলোয়ার হোসেন, আবু মোশায়েব, আবু সায়েম, জসিম উদ্দিন, শ্রমিকনেতা জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রনেতা সৌরভসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
পুরান ঢাকার বাদামতলিতে মিছিল ও পিকেটিং : গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) হরতালের সমর্থনে পুরান ঢাকার বাদামতলিতে মিছিল ও পিকেটিং করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য এম আর আজাদের নেতৃত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আবুল ফজল, নুর ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
শাহজাহানপুরে মিছিল ও পিকেটিং : ৮ম দফার হরতাল ও অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর শাহজাহানপুরে মিছিল ও পিকেটিং করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আবু আম্মারের নেতৃত্বে মিছিল ও পিকেটিং এ আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য এসএম শামসুল বারী, মু’তাসিম বিল্লাহ, নুর উদ্দিন এবং ছাত্রনেতা মুহিবুল্লাহ হোসাইনীসহ জামায়াত ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি