দুদিন পরই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এদিন, অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঢল নামবে মানুষের। দিবসটি উপলক্ষে এখন সেখানে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় দেখা যায়, ধোয়া-মোছা এবং রঙয়ের কাজ চলছে। স্মৃতি স্তম্ভের সামনে রাস্তার পাশে থাকা মাটি সরানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে আগেভাগেই কাজ শুরু করছেন। আজ বুধবারের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এরপর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে এখানে।
স্মৃতিসৌধে রঙয়ের কাজ করছিলেন আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, ১৩ দিন ধরে আমরা রং করছি। প্রতিদিন কাজ করছেন ১৫-২০ জন। কাজ শেষপর্যায়ে। আরেক রং মিস্ত্রী তুহিন বলেন, ধোয়া-মোছা আর পরিষ্কারের সব কাজ শেষ। রঙয়ের কাজ কিছুটা বাকি আছে। বুধবার শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। স্মৃতি স্তম্ভের পেছনের দিকে আটটি, সামনে আগে থাকা নয়টিসহ বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। সিসি ক্যামেরা লাগাতে আসা শুভ বলেন, আজকের মধ্যেই ক্যামেরা বসানো শেষ হবে। কাল থেকে চালু হবে এগুলো। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১, ৩৩ এবং ৩৪ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর রোকসানা আলম বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার সব করা হচ্ছে। আশপাশের ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ৬০ জনের টিম পাঁচদিন ধরে কাজ করছে এখানে। স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে আসা ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসবিরুল হল অনু বলেন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত দল। ১৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামবে এই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে জাতির মেধাবী সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর থেকে প্রতিবছর শোকগাথায় এ দিনকে স্মরণ করে পুরো জাতি। এটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি বেদনার দিন।