সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীত শুরু হয়। নতুন কাপড় কেনা নি¤œআয়ের মানুষের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য। তাই তাদের পুরাতন কাপড়ের দোকান একমাত্র ভরসার জায়গা। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ঘিওর হাটে ঘুরে দেখা যায় পুরাতন কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ যেন একটু বেশি। সপ্তাহে প্রতি বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হাট বসে। ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০-৫০০ টাকা দরের কাপড়ও এসব দোকানে পাওয়া যায়। পুরাতন কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি নতুন কাপড়ের দোকানগুলোতে প্রচুর ভিড় জমে উঠছে। এখানকার কাপড়ের দাম অনেক কম হওয়ায় নি¤œ ও মধ্যআয়ের ক্রেতাদের ভিড় একটু বেশি থাকে। ৯০ থেকে ১০০ জন ব্যবসায়ী এখানে পুরাতন কাপড় বিক্রি করেন। নিলুয়া এলাকার নি¤œআয়ের ক্রেতা পলাশ পাল জানান, আমরা দিন আনি দিন খাই । আমি গরিব মানুষ শীতে নতুন গরম কাপড় কিনতে পারি না। তাই ছেলে-মেয়েদের জন্য ফুটপাতের দোকান থেকে কিছু গরম কাপড় ক্রয় করছি। বাইলজুরী এলাকার শাহিন আলম বলেন, শীতকাল আসলেই আমি ঘিওর হাট থেকে আমার পরিবারের সবার জন্য গরম কাপড় কিনতে আসি। এখানে অনেক ভালো ভালো কাপড় পাওয়া যায়। দেখতে অনেকটাই নতুন কাপড়ের মতোন। কথা হয় কাপড় কিনতে আসা গোলাপনগর এলাকার রেখা রানীর সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতি বছরই এই ঘিওর হাটের ফুটপাতের শীতবস্ত্র দোকান থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য শীতের কাপড় কিনতে আসি। স্বল্প মূল্যে ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায় বলে এখানে আসি। ২০০ টাকা দিয়ে স্বামীর জন্য একটি সোয়েটার ও ১৫০ টাকায় ছেলের একটি সোয়েটার কিনেছি। এখন মেয়ে ও নিজেরটা কেনার জন্য ঘুরছি। শীতের পোশাক ক্রেতা রিক্সা চালক মোঃ মজনু মিয়া বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে, নতুন শীতের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই আমার। তাই মেয়ের জন্য ৩৫০ টাকা দিকে নতুন কোয়ালিটির পোশাক কিনেছি। ঘিওর হাটে পুরাতন কাপড় বিক্রেতা মিলন প্রধান জানান, ঢাকা গাজীপুর ও সদর ঘাট থেকে এ বছর কয়েক লট মাল আনা হয়েছে। ভালো বিক্রিও হয়েছে। ক্রেতারা প্রচুর আসছেন। কোনো কোনো লটে অনেক ভালো কাপড় থাকে। সেই ভালো কাপড় খুঁজে নিতে ক্রেতাদের থাকে বাড়তি আগ্রহ। এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এখনও পুরোপুরি শীত শুরু হয়নি। তবে দেখেছি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পুরাতন কাপড়ের হাট বসেছে।