তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামকে মামলায় আসামী করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এমনকি মামলা থেকে রক্ষা পায়নি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত তার আপন সহোদর সাইফুল ইসলাম।মনুও। কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই চকরিয়া থানার ওসি প্রতিপক্ষের যোগসাজসে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে, মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। জানাগেছ, গত ২১ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সবুজ বাগের একটি মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে যুবলীগ সভাপতির শিশুপুত্রের একটি কর্ক নুরন্নবী নামের এক ব্যক্তির গায়ে পড়া নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম জানান, তার শিশু পুত্র শাহনেওয়াজ কবির ইয়াদ(৮) সহ কয়েকজন বন্ধু মিলে গত ২১ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় সবুজবাগ মালেক টাওয়ারের উঠানে ব্যাডমিন্টন খেলা করছিলো। ওইসময় মালেক টাওয়ারের অপর ভাড়াটিয়া নুরন্নবী(৫৫) বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গায়ের উপর কর্ক পড়ে। এতে নুরন্নবী ক্ষিপ্ত হয়ে তার পুত্র ইয়াদকে মারধর করে। তিনি আরো বলেন, নুরন্নবীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করে। পরবর্তীতে জানলাম নুরন্নবীকে হামলা করেছি মর্মে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় ৭ জন আসামীর মধ্যে আমার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম মনু দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন ও এক প্রকার মৃত্যু শয্যায়। যুবলীগ শহিদ সভাপতি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তক্রমে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীক এর পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম পরিকল্পিতভাবে থানার ওসিকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলাটি করিয়েছেন। মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া, আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিঃ সহসভাপতি ছরওয়ার আলম, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল, জেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট শহিদুল্লাহ চৌধুরী, লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান খ ম বুলেটসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের শতশত নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন, মামলায় যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে, মুলত ওই ঘটনায় মামলার হওয়ার প্রশ্নেই উঠে না। ঘটনার তিনদিন পর থানা পুলিশকে ব্যবহার করে একজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা, এক ধরণের ষড়যন্ত্র বলে জানান। অতি উৎসাহী হয়ে এ মামলাটি নিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি।