রক্ষক যখন ভক্ষক, রক্ষা করিবে কে? জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্তর মরাধনু জলমহালের কোটি কোটি টাকার মাছ হরিলুট চলছে। এলাকার একটি স্বর্থম্বেষী মহলের কারণে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ নিয়ে দফায় দফায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে হরিলুটের ঘটনা ঘটছে। জলমহলটি ইজারাদারকে বুঝিয়ে দিলে সরকার এবারের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতো না। একটি মহল ইজারার বিরুদ্ধে চেষ্টা চালাচ্ছে, যাতে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বছরের পর বছর বিলের মাছ লুট করতে পারে। ১৪২৯ বাংলা সনে রাজিবপুর মৎস্যজীবি সমিতি টেন্ডারের মাধ্যমে জলমহালের ইজারা পেলেও টাকা জমা দিতে পারেনি। যে কারণে একটি মহল জলমহালটির মাছ হরিলুট করে নিয়ে যাচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় দীগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, ঠাকুর ধন বর্মণ ও সুমেশ^র দাস, এদের নেতৃত্বে বিলের মধ্যে যাদেরকে পাহারা দেওয়া হয়েছে।এরাই আবার প্রতিদিন রাতের আধারে বিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ধরে বিক্রি করছে ও খলা দিয়ে মাছ শুকিয়ে শুটকি বানাচ্ছে। এই নিয়ে গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন উপজেলা প্রশাসনের কাছে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বারবার অভিযোগ করেও হরিলুট বন্ধ করা যাচ্ছেনা। এর মধ্যে সহকারি কমিশনার ভূমি তিনি সরজমিনে গেলেও বিলের মাছ হরিলুটকারীদের দেখা শুনার দায়িত্ব দিয়ে এসেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একটি সংঘবদ্ধ চক্র মাছ ধরে লাখ লাখ টাকার আত্মসাৎ করছে। চক্রটির মূলহোতা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। উপজেলার বরান্তর গ্রামের শাহানুরসহ এই চক্রের ২০ থেকে ২৫জন জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই ব্যাপারে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। বিলের মাছ হরিলুটের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি সমিতির সাবেক পরিচালক সজিব সরকার রতন বলেন একটি সংঘবদ্ধ চক্র কৌশলে ইজারা বাতিল করে রাতের আধারে মরাধনু বিলের মাছ হরিলুট করে লক্ষ লক্ষ টাকা বিক্রি করছে। প্রশাসনের নিরবতায় আমরা হতবাগ হয়ে পড়েছি। এই ভাবে কোটি টাকার রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হতে পারেনা। এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজা জেসমিন বলেন বরান্তর মরাধনু বিল নিয়ে হাইকোর্টে মামলা জটিলতা থাকার করণে ইজারা দেওয়া যায়নি। এই সক্রান্ত জটিলতা সমাধানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।