জেলার পাঁচবিবি বাজারে দুদিন শুক্রবার ও মঙ্গলবার হাটের দিন করে পাইকারী ও খুচরা ভাবে বিক্রয় হচ্ছে উন্নতজাতের পেঁয়াজের চারা (স্থানীয় নাম পুল)। এতে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। পাঁচবিবি হাট ঘুরে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিজের জমিতে পেঁয়াজের চারা লাগানোর পর অতিরিক্ত বা বেঁচে যাওয়া চারা গুলো বাজার বিক্রি করে বাড়তি আয় করেন কৃষকরা। পেঁয়াজের চারা করতে না পারা কৃষকরা বাজার থেকে কেনা চারা রোপণ করে থাকেন তাদের জমিতে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা জমিতে রোপণের জন্য ভালমন্দ জাত দেখে তারা বাজার থেকে পেঁয়াজের চারা ক্রয় করে থাকেন । বাজারে এখন ফরিদপুরা ও তাহেরপুরা জাতের একশ পিস চারা দিয়ে বাঁধা এক মুঠা বা বোঝা (স্থানীয় নাম আটি) ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায় । অনেক চাষি অধিক লাভের আশায় তাদের জমিতে বাজারে বিক্রয়ের জন্য পেঁয়াজের চারা তৈরী করে থাকেন। আবার কেউ নিজের জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করার জন্যও বীজতলা বা চারা উৎপাদন করেন। পেঁয়াজের চারা তৈরি করার মতো জায়গা নেই এমন চাষিরা বাজার থেকে দেখে শুনে চারা কিনে জমিতে রোপণ করছেন। পাঁচবিবি উপজেলার ধরন্জী এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন ও ফেচকাঘাট এলাকার কৃষক মুনসুর রহমানকে বাজার থেকে পেঁয়াজের চারা কিনতে দেখা যায়। তারা বলেন, প্রতি বছরই বাজার থেকে ভালমন্দ চারা দেখে ক্রয় করে জমিতে লাগিয়ে থাকেন । কড়িয়া গ্রামের চারা ব্যবসায়ী শাজাহান আলী বলেন, অন্যের নিকট থেকে বীজতলা বা চারা ক্রয় করে বিভিন্ন হাটে-বাজারে বিক্রয় করে থাকি। শালপাড়ার চাষি বাবু লাল বলেন, দেড় কেজি পেঁয়াজের বীজ ৩ হাজার টাকা খরচ করে বীজতলা বা চারা তৈরি করেছি। নিজে এক বিঘা জমিতে লাগানোর পর অবশিষ্ট চারা গুলো দশ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি ।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় এ বছর সাড়ে ৩’শ হেক্টর জমিতে বারি পেঁয়াজ -১, ফরিদপুরা ও তাহেরপুরা জাতের পেঁয়াজ আবাদ করছেন কৃষকরা।