বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কোনো কালেই নিপীড়ক আওয়ামী সরকার সদিচ্ছাপ্রসূত রাজনৈতিক আচরণ করেনি। ওদের হাতের মুঠোয় ধ্বংসের শক্তি আর ভাষায় বিদ্বেষের শক্তি। গতকাল সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত ৭ জানুয়ারির ভোট জনগণ প্রত্যাখান করেছে। অনেক অনুনয়-বিনয় আর স্বৈরাচারী উগ্র প্রতিমূর্তি ধারণ করেও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেনি। কারণ জনগণ আগেই টের পেয়েছিল এরা ভোটকেন্দ্রে লোক সমাগম দেখিয়ে সন্ধ্যাবেলায় পূর্ব নির্ধারিত ব্যক্তিদের সংসদ সদস্য হিসেবে নাম ঘোষণা করা হবে। সেটি ভোটের দিন অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হয়েছে। এরা নির্বাচনকে পচে গলে বিকৃত করেছে। আর এই ধোকাবাজির নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গত তিন/চার মাস ধরে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশবিক নিপীড়ণ নির্যাতন চালানো হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনে অনেকেই কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কারাহেফাজতে ও রিমান্ডে নির্যাতন পৃথিবীর সকল জালিমশাহীর রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কারো হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে, কারো হাত ও পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে, কারো চোখের আলো নিভে গেছে পুলিশের ছোড়া শটগানের গুলিতে।
তিনি বলেন, এখন অনেকে আদালত থেকে জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না। জামিনের কাগজ নিয়ে কারাফটক থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে আবারো নতুন মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। আওয়ামী পুলিশ প্রশাসন বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী দলগুলোর নেতাকর্মীদের জীবন নিয়ে খেলছে। অবৈধ সরকার যেন নিজেদের টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। জামিনে মুক্তি পেলেও জেলগেটে টাকা না দিলে তাদের মুক্তি মিলছে না। অসংখ্য গরীব নেতাকর্মী জেলগেটের টাকা না দেয়ার কারণে কারাগারেই ধুকে ধুকে জীবন কাটাচ্ছে। জেলগেটে অনাচার এবং টাকার বিনিময়ে মুক্তির নিশ্চয়তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।