গাজায় দুটি ভবন ধ্বংস করতে গিয়ে বিস্ফোরণে ২১ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তিন মাস ধরে চলা যুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন তাদের সেনাসদস্যেরা।
গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি বলেন, মধ্য গাজার দুটি ভবন উড়িয়ে দিতে ইসরায়েলি সেনাসদস্যেরা বিস্ফোরক প্রস্তুত করছিলেন। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি ট্যাংকের কাছে রকেট-চালিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। একসঙ্গে গ্রেনেড আর বিস্ফোরকের বিস্ফোরণে ভবন ধসে পড়ে। এতে ভবনের ভেতরে থাকা সেনাসদস্যেরাও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি ইসরায়েলি নিহত হন। এ সময় হামাস আরও প্রায় ২৫০ জনকে বন্দী করে নিয়ে যায়। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে এবং ইসরায়েল ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে। তারা বেসামরিক নাগরিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আশ্রয়শিবির, হাসপাতাল সর্বত্র হামলা চালায়। এতে ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ।- খবর টাইমস অব ইসরায়েলের