বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চেহারায় বলিরেখার আবির্ভাব স্বাভাবিক। অনেক ক্ষেত্রে আবার সময়ের আগেই বলিরেখা দেখা দেয়। বিশেষ করে কপালের উপর দৃশ্যমান রেখাগুলো অনেকের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।
মোটা টাকা খরচ করে, ছুরি-কাঁচির সাহায্যে বলিরেখাকে ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হন তারকারা। সাধারণ মানুষের পকেটের অবস্থা তেমন নয়। তবে কিছু একেবারে মুক্তি না মিললেও, বলিরেখার হাত থেকে সাময়িক ত্বককে রক্ষা করা সম্ভব। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে অবশ্যই। তাহলেই দেখবেন ত্বক একেবারে ঝকঝকে ও মসৃণ হয়ে উঠছে। কপালে বলিরেখার আবির্ভাব ঘটলে নিয়মিত ত্বকের যতœ নিতেই হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: জীবনযাপনে আনতে হবে কিছু পরিবর্তন। এর মধ্যে প্রথমেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানিশূন্যতা ত্বকের গঠন ভেঙে দেয়, কোলাজেনের ক্ষয় হয়, টান টান ভাব থাকে না। পর্যাপ্ত পানি পানে এই সমস্যা থাকবে না।
ময়েশ্চারাইজার মাখুন: ভালো ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চারাইজার কিনতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। হায়লুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত ময়শ্চারাইজার ত্বকের টান টান ভাব ধরে রাখে।
গন্ধ-স্বাদ না পাওয়া কি কোনো রোগের লক্ষণ?
পিঠে ব্রণ উঠলে কী করবেন?
ভালো ক্লিনজার ব্যবহার করুন: ক্লিনজিং পণ্য ব্যবহার করেন যদি, সেক্ষেত্রে হালকা ক্লেনজার ব্যবহার করা কাম্য। এতে ত্বকের স্বাভাবিক সিক্ত ভাবে নষ্ট হয় না। শুষ্ক হয়ে ওঠে না ত্বক। ত্বক যত শুষ্ক হবে, ততই স্পষ্ট বোঝা যাবে বলিরেখা।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন সব সময়। এতে সময়ের আগে বার্ধক্য থাবা বসাতে পারবে না চেহারায়। সানস্ক্রিন সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও ত্বককে রক্ষা করে।
ভিটামিন সি’যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করুন: ভিটামিন সি ও রেটিনল যুক্ত প্রসাধনী ত্বকের পরিচর্যায় রাখতে পারেন। এতে প্রাকৃতিক উপায়ে কোলাজেনের প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। ত্বক হয় মসৃণ, বলিরেখা থেকে মুক্ত।
শরীরচর্চা করুন: শরীরচর্চার মতো চেহারার ব্যায়ামও হয়। এক্ষেত্রে মুখের পেশি ব্যায়াম অভ্যাস করতে হয়। কপাল, গাল, চিবুক, সবগুলোরই আলাদা আলাদা ব্যায়াম আছে। বিশেষজ্ঞের থেকে শিখতে হবে।
বলিরেখা ঠেকাতে হলে ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাসও ছাড়তে হবে। একবারে ছাড়তে না পারলেও, কমিয়ে দিতে হবে। ডায়েটে রাখুন পুষ্টিকর খাবার, বিশেষ করে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট যুক্ত খাবার। সূত্র: এবিপি লাইভ