বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে জুমার নামাজের জামাত। ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠে সমবেত হতে থাকেন মুসল্লিরা। দেশ-বিদেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। ইমামতি করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী।
গতকাল শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় ময়দানে জুমার আজান হয়। ১টা ৩৫ মিনিটে খুতবা শুরু হয়। জুমার নামাজ শেষ হয় ১টা ৫৭ মিনিটে। মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ এবং বিশ্ববাসীর শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
গতকাল শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ফজরের নামাজের পর উর্দু ভাষায় বয়ান করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভী। তা বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশি মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। এ ছাড়াও সকাল ১০টায় ভারতের মাওলানা ইলিয়াস তালিমের মৌজু, জুমার আগে জুমার ফাজায়েলের ওপর ১০ মিনিট বয়ান করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
বেলা ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সব স্থান পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ ছাড়া টঙ্গীর বিভিন্ন উঁচু ভবনের ছাদ থেকেও মুসল্লিরা জুমার নামাজে অংশ নেয়। এতে মূল প্যান্ডেল ছেড়ে আশপাশে মুসুল্লিদের ঢল নামে। মুসল্লিরা জায়গা না পেয়ে আশপাশের সড়কে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, জুমার পরে বয়ান করবেন শেখ মোফলে (আরবি), তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় অনুবাদ করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর, আসরের পর বয়ান করবেন মাওলানা মোশাররফ, মাগরিবের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় অনুবাদ করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম। প্রায় ৫৬টি দেশে থেকে ছয় হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে সফিকুল ইসলাম জানান, বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিদিন প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের খেদমতে নানা কর্মসূচি পালন করছে।