শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন

সাবেক ভিসি আবদুল মমিন চৌধুরী আর নেই

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ইতিহাসবিদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক আবদুল মমিন চৌধুরী মারা গেছেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে রাজধানীর লালমাটিয়ায় নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
আবদুল মমিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। লালমাটিয়া সি ব্লক মসজিদ প্রাঙ্গণে বাদ জুমা তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অধ্যাপনার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক, কলা অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বনামধন্য বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০১-০৪ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো মনোনীত হন।
এ ছাড়াও অধ্যাপক চৌধুরী ২০০১-০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০০৩-০৫ পর্যন্ত প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন।
আব্দুল মমিন চৌধুরী ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী এবং মাতা শিরিন বেগম। তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৬ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাস করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে ১৯৫৯ সালে বি.এ. (অনার্স) এবং ১৯৬০ সালে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬৫ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি ১৯৭৫-৭৬ সালে কমনওয়েলথ ফেলোশিপ নিয়ে পোস্ট-ডকটোরাল গবেষণাও সম্পন্ন করেন। ২০১৩-১৪ সালে অধ্যাপক চৌধুরী সিনিয়র ফুলব্রাইট ফেলো হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে গবেষণা করেন।
১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে টিচিং ফেলো হিসেবে যোগদান করার মাধ্যমে হয় তার বর্ণাঢ্য শুরু হয় তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন । একই বিভাগে ১৯৬৫ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৭০ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৭৮ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০১৩ সালে তিনি ইতিহাস বিভাগ থেকে অবসর লাভ করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com