শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

কুমিল্লার প্লাবন ভূমিতে মাছের পর বাড়ছে ধান চাষ

বাসস :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪

জেলার দাউদকান্দি দেশের অন্যতম প্লাবন ভূমি। এই উপজেলায় মাছ চাষের জন্য বিখ্যাত। সেখানে মাছের পর ধান চাষ বাড়ছে। বসন্ত গ্রীষ্মে সোনালি ধানের হাসি-বর্ষা হেমন্তে রূপালী মাছের ঝিলিক দেখা যায়।
সূত্র মতে, কুমিল্লার দাউদকান্দি, মুরাদনগর ও চান্দিনাসহ বিভিন্ন উপজেলার প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম দাউদকান্দি প্লাবন ভূমি। এখানের জমি প্রায় ৮ মাস পানির নিচে থাকে। তাই জমিতে ফসল ফলানো যায় না। এই সময় মাছ চাষ করা হয়। উপজেলার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে মাছ চাষ করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে কিছু কৃষক ধান চাষ না করে ফেলে রাখতেন। সেই সব কৃষকরাও ধান চাষে ঝুঁকছেন। এবার দাউদকান্দির ৭ হাজার ৮৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়।
সরেজমিন উপজেলার মোহাম্মদপুর ও ইলিয়টগঞ্জ গিয়ে দেখা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নে বেশি প্লাবন ভূমি। সেখানে এবার ধান চাষ বাড়ছে। মাঠের পর মাঠ সবুজ ফসলের হাসি। কৃষকরা ব্যস্ত জমির আগাছা পরিষ্কারে। কেউ পাশের ডোবা থেকে সেওতি (পানি সেচের দেশীয় পদ্ধতি) দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছেন।
বীরতলা গ্রামের কৃষক তফাজ্জল ইসলাম বাসসকে বলেন, তিনি তিন বিঘা জমিতে ধান চাষ করছেন। মাছ চাষের কারণে জমি উর্বর থাকে। ওই জমিতে ধান চাষ করলে সার দিতে হয় না। জমি নাঙ্গল বা ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করতে হয় না। জমিতে আগাছাও কম হয়। অনেকে আগে জমি ফেলে রাখতো। এখন তারা ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
মৎস্য উদ্যোক্তা আব্দুল মতিন বলেন, দাউদকান্দি অ লে ৮৮টি মাছের খামার রয়েছে। তার মধ্যে ৭/৮টি বাদ দিলে আর সবগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করা হয়। ধানের বর্তমানে ভালো মূল্য পাওয়া যাচ্ছে। তাই অনেকে ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। মাছের পর ধান চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন- মাছ চাষের কারণে দীর্ঘ সময় জমি অ্যবহৃত থাকে। তাই জমি উর্বর হয়। মাছের পর ধান চাষ করলে সার দিতে হয় না। মূলত প্লাবন ভূমির সংজ্ঞা হচ্ছে, জমি ডুবে গেলে মাছ চাষ, ভেসে উঠলে ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষ করবে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এখানের কৃষকরা ধান ও মাছ করায় লাভবান হতে পারছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com