কম্পিউটারে আরবি ভাষা অন্তর্ভুক্তকারী শায়খ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-শারিখ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। গত বুধবার (৬ মার্চ) রাতে কুয়েতে ৮২ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে দেশটির সংস্কৃতি, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক জাতীয় কাউন্সিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শায়খ আল-শারিখ ছিলেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের অন্যতম, যিনি আরবি ভাষা ও সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্যকরণ থেকে সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। তাছাড়া আশির দশকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কম্পিউটারে আরবি ভাষা চালুর ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। ২০১৮ সালে তিনি কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পুরস্কার এবং ২০২১ সালে ইসলামের সেবার জন্য সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার লাভ করেন।’
আল-শারিখ ১৯৪২ সালে কুয়েতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের উইলিয়ামস কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি কুয়েত উন্নয়ন তহবিলের সহকারী পরিচালক এবং বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। কুয়েত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের প্রধান ছিলেন।
আধুনিক প্রযুক্তিতে আরবি ভাষার সমৃদ্ধি আনতে আল-শারিখ সাখর প্রজেক্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে স্ক্রিন রিডার, মেশিন ট্রান্সলেশন, অটোমেটিক স্পিসসহ আরবি ভাষার উন্নয়নে নানামুখী কাজ করা হয়। এখান থেকে তরুণদের কম্পিউটার প্রগ্রাম ও বিজ্ঞানবিষয়ক অনেক বই প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি পবিত্র কোরআন, ৯টি প্রসিদ্ধ হাদিসগ্রন্থ ও ইসলাম বিষয়ক তথ্যাবলি কম্পিউটার প্রগ্রামে ডেভেলপ করে।
তিনি ১৯৮২ সাল থেকে কম্পিটার প্রোগ্রাম আরবিকরণ, অ্যারাবিক ইলেকট্র্রনিক ডিকশেনারি, প্রুফ রিডার প্রগ্রাম, অটোমেটিক ফর্মাল অ্যারাবিক প্রনানসিয়েশন, মেশিন ট্রান্সলেশন ডেভেলপ করাসহ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ভিশন সিস্টেম উন্নয়নে কাজ করেন। সূত্র : আলজাজিরা ও আশ শারকুল আওসাত