বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০০ অপরাহ্ন

গাজীপুরে দগ্ধদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩২ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
গাজীপুরে বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় অনেক লোক দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এসেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে ৩২ জন রোগী এসেছেন। তার মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বার্ন আছে ১৬ জন।’ স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সব রোগীকে দেখেছেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়েছিলাম। সেই বোর্ডে আমি ছিলাম। ৯০ শতাংশ দগ্ধ রোগী আছেন ১০ জনের বেশি। তার মধ্যে শিশুরাও আছে। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। রোগীগুলো এতো বাজে অবস্থা সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বুধবার (১৩ মার্চ) এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন। সর্বাত্মক চেষ্টা করার জন্য সরকার থেকে বার বার বলা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করবো। বাকিটা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে এদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন। এদের মধ্যে ৬ জন অলরেডি আইসিইউতে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা তো বুঝতেই পারেন ৯০ শতাংশের বেশি বার্ন। বাচ্চাদের ১০ শতাংশের বেশি হলেই মেঝর হয়ে যায়। এদের অনেকেরই ৩০ শতাংশ মতো। আমি গত রাতেও এসেছিলাম। আজকেও অনেক সকালে আসছি, আমাদের একটি মিটিং ছিল। ‘ তিনি বলেন, ১০ বছরে নিচে ৭ জন শিশু ও ১১ থেকে ১৮ মধ্যে ৬ জন। মোট ১৩ জন শিশু রয়েছে। এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, অধ্যাপক (রেডিওলোজি) ডা. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক (এনেস্থিসিওলজি) ডা. আতিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক (বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হাসিব রহমান, সহযোগী অধ্যাপক (বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হোসাইন ইমামসহ (ইমু) অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা।
বার্ন ইনিস্টিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হোসাইন ইমাম (ইমু) জানান, দগ্ধদের মধ্যে ৫ জন আইসিইউতে, ২ জন এইচডিইউতে, ও বাকি ২৫ জন পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আইসিইউ তে রয়েছেন ৫ জন, তারা হচ্ছেন, মো. আরিফ (৪০) ৭০ শতাংশ, মো. নাঈম (১৩) ৪০ শতাংশ, মো. মুহিদুল (২৮) ৯৫ শতাংশ, রাব্বি (১২) ৯০ শতাংশ, সোলাইমান (৬) ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এইচডিইউতে দুজন, তারা হচ্ছেন, তৈয়বা (৫) ৯০ শতাংশ, তৌহিদ (৭) ৮০ শতাংশ।
পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রয়েছেন ২৫ জন। তারা হচ্ছেন, নিরব (৭) ৩২ শতাংশ, রাহিমা (৩) ১০ শতাংশ, নিলয় (৩) ৮ শতাংশ, সুফিয়া (৮) ৮ শতাংশ, কবির (৩০) ৪৫ শতাংশ, জহিরুল ইসলাম (৪০) ৫৮ শতাংশ, আজিজুল (২৮) ৩ শতাংশ, সুমন (২৫) ২৫ শতাংশ, মোতালেফ (৪০) ৯৫ শতাংশ, মুনসুর (৪৫) ১০০ শতাংশ, লালন (২২) ৪০ শতাংশ, শিল্পী (৪০) ২৫ শতাংশ, রামিছা (৩৬) ৩ শতাংশ, কমলা খাতুন (৬৫) ৮০ শতাংশ, মান্নাফ (১৮) ৪০ শতাংশ, সোলাইমান (৪৫) ৯৫ শতাংশ, ইয়াসিন আরাফাত (২১) ৮৫ শতাংশ, কুদ্দুস খান (৪৫) ৮০ শতাংশ, সাদিয়া (১৮) ৫ শতাংশ, শারমিন (১২) ৩ শতাংশ, রতœা বেগম (৪০) ১০ শতাংশ, মশিউর (২২) ৫২ শতাংশ, নার্গিস (২৫) ৯০ শতাংশ, তারেক (১৭) ২০ শতাংশ, ও নাদিম (২২) ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com