শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়া সামাজিক বন বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালিত

রফিক কুষ্টিয়া
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

“উদ্ভাবনায় বন সম্ভাবনায় বন” এই শ্লোগান নিয়ে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালিত হল। মূলত মানুষকে গাছের গুরুত্ব বোঝাতেই দিবসটি পালিত হয়। এর মধ্যে বৃক্ষরোপণও অন্তর্ভুক্ত। গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের মতে, পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বনভূমি। একটি বনে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ গাছ থাকে। একজন মানুষের শ্বাস নিতে বছরে ৭৪০ কেজি অক্সিজেন প্রয়োজন। গড়ে একটি গাছ বছরে ১০০ কেজি পর্যন্ত অক্সিজেন দেয়। ফলে মানুষের বেঁচে থাকা আর পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা একা হাতেই সামলায় বনাঞ্চলগুলো।এ বিষয়টি মাথায় রেখে ১৯৭১ সালে ইউরোপীয় কনফেডারেশন অব অ্যাগ্রিকালচারের ২৩তম সাধারণ পরিষদে বিশ্ব বনায়ন দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সং¯’া গাছের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বন দিবস প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়।জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দুটি আন্তর্জাতিক স্মারক বিশ্ব বন দিবস এবং আন্তর্জাতিক বন দিবসকে একত্রিত করে প্রতি বছর ২১ মার্চ দিবসটিকে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।এদিকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, শিল্পায়ন, কৃষিভূমি সম্প্রসারণ, আবাসন প্রভৃতি নানা কারণে সংকুচিত হ”েছ বনাঞ্চল। ফলে দেশের বন ও বন্যপ্রাণী আজ হুমকির সম্মুখীন।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনসহ বিভিন্ন বন সংরক্ষণে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে সুন্দরবনের বৃক্ষ সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে প্রকাশিত জাতীয় বন জরিপের তথ্যমতে সুন্দরবনে মোট কার্বন মজুদের পরিমাণ ১৩৯ মিলিয়ন টন, যেখানে ২০০৯ সালে পরিচালিত জরিপ অনুসারে এর পরিমাণ ছিল ১০৭ মিলিয়ন টন।বন রক্ষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব উদ্যোগ স্মরণীয় করে রাখতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনগণের মাঝে বিনামূল্যে ১ কোটি চারা বিতরণ করা হয়েছে। জাতির পিতার নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দেশের বিদ্যমান বনাঞ্চল সংরক্ষণ এবং বনায়ন কার্যক্রম জোরদার করেছে। জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে টেকসই বন ব্যব¯’াপনা নিশ্চিতকরণ ও বনের পরিবেশ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রধান বক্তা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র তার বক্তব্য বলেন, আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি যিনি সব সময় জনকল্যাণের কাজ করে থাকেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনে সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বেশি বেশি করে বৃক্ষ রোপন করেন। তাহলে আমাদের দেশ বাঁচবে আমরা অক্সিজেন বেশি বেশি পাব। দেশে বৃষ্টিপাত বেশি হবে। আপনারা দেখছেন একটা দেশের বনভূমির পরিমাণ যদি কমে যায় তাহলে সেই রাষ্ট্রে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। তাই তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা বাড়িতে বেশি বেশি করে গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান। উক্ত আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তাপস কুমার সেন গুপ্ত। তিনি তার আলোচনার একপর্যায়ে বলেন, সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে আমরা প্রত্যেকে ১০টি করে নিজ নিজ আঙিনায় চারা রোপণ করি। কারন প্রকৃতি না বাঁচলে আমরা বেঁচে থাকতে পারবো না। আপনারা দেখেন দিনদিন পানি স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। আর এইগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের সবাইকে বেশি বেশি করে গাছ রোপণ করতে হবে।এই সময় উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ক্যাশাপী বিকাশ চন্দ্র, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, তাপস কুমার সেন গুপ্ত (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জগতি, সামাজিক বন বিভাগ, কুষ্টিয়া), পরিবেশবিদ গৌতম কুমার রায়, জাহিদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ভেড়ামারা বন বিভাগ, প্রধান সহকারী আব্দুল মালেক, বন বিভাগের উপকারভোগী কমিটির সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন বাবলু, মোঃ আবেদ (উচ্চমান সহকারী) মোঃ গোলাম কিবরিয়া, মোঃ আনিছুর রহমান সহ কুষ্টিয়া সামাজিক বন বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও সাংবাদিকগন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com