শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

৫ বারের বিধায়ককে কারাগারে বিষপ্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ভারতের উত্তর-প্রদেশ উত্তাল
ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারির মৃত্যুর পর তার ছেলে উমর দাবি করেছেন, তার বাবাকে ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছিল। তিনি দাবি করেন, তার বাবাকে খাবারে বিষ দেওয়া হয়েছিল। সেই খাবার খেয়েই মৃত্যু হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, উমর জানান, মুখতারের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতে যাবেন। বাবার মৃত্যুর খবর প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়নি বলেও দাবি করেন উমর। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু বলা হয়নি। আমি সংবাদমাধ্যম থেকে বিষয়টি জানতে পারি।
তার দাবি, কয়েক দিন আগেও আমি তার (মুখতার আনসারি) সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বিষ দেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে আমরা আগেও যা বলেছি, এখনও একই কথাই বলবো। গত ১৯ মার্চ নাকি মুখতারকে রাতের খাবারের সঙ্গে বিষ দেওয়া হয়েছিল, এমনই অভিযোগ করেছেন উমর। এই ব্যাপারে তারা বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রমজানের উপবাস ভাঙার পরেই মুখতারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। বান্দা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সুনীল কৌশল জানান, পেটের যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সেখানেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মুখতারের।
যদিও মুখতারের ভাই বিধায়ক আফজল আনসারি অভিযোগ করে বলেছেন, তাকে জেলের মধ্যেই বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে। একই অভিযোগ শোনা গেলো ছেলে উমরের গলাতেও। গতকাল শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর মুখতারের মরদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মখতারের মৃত্যু নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এমআইএম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, মুখতার প্রশাসনের বিরুদ্ধে বার বার গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাকে বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করতেন। সরকার তার চিকিৎসার দিকে কোনো মনোযোগ দেয়নি। একই কথা বলেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আমিক জামেই। তিনি মুখতারের ম্তৃ্যুর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি কংগ্রেস নেতা সুরেন্দ্র রাজপুতেরও।
৬০ বছর বয়সি মুখতার উত্তরপ্রদেশের মৌ সদর বিধানসভার পাঁচ বারের সাবেক বিধায়ক ছিলেন। ২০০৫ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবের কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৬০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন ছিল। তিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন আদালতে আটটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বান্দা কারাগারে বন্দি ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গত বছর যে ৬৬ জন গ্যাংস্টারের তালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতেও নাম ছিল মুখতারের।
ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগে হত্যা: ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলোচিত রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারি কারাগারে মারা গেছেন। তার ছেলে উমর আনসারি দাবি করেছেন, ‘আমার বাবাকে ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছিল!’ তিনি দাবি করেন, তার বাবাকে খাবারে বিষ দেয়া হয়েছিল। ওই খাবার খেয়েই মৃত্যু হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, উমর জানান, মুখতারের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতে যাবেন। বাবার মৃত্যুর খবর প্রশাসনের তরফে তাদের জানানো হয়নি বলেও দাবি করেন উমর। তার কথায়, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু বলা হয়নি। আমি সংবাদমাধ্যম থেকে বিষয়টি জানতে পারি।’ এর পরই তিনি বলেন, ‘দিন দুয়েক আগেও আমি তার (মুখতার আনসারি) সাথে দেখা করতে জেলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। বিষ দেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে আমরা আগেও যা বলেছি, এখনো একই কথাই বলব।’ গত ১৯ মার্চ নাকি মুখতারকে রাতের খাবারের সাথে বিষ দেয়া হয়েছিল, এমনই অভিযোগ করেছেন উমর। এই ব্যাপারে তারা বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি। মুখতারের কথায়, ‘বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মুখতারের। জেল সূত্রে খবর, রমজানের রোজা ভাঙার পরেই মুখতারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। বান্দা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুনীল কৌশল জানান, পেটের যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সেখানেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মুখতারের। যদিও মুখতারের ভাই গাজিপুরের এমপি আফজাল আনসারি অভিযোগ তুলেছেন, তার বড় ভাইকে জেলের মধ্যেই বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে। একই অভিযোগ শোনা গেল ছেলে উমরের গলাতেও। শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর মুখতারের লাশ তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে। তার পরই তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হবে বলে জানান উমর।
মুখতারের মৃত্যু নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এমআইএম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, ‘মুখতার প্রশাসনের বিরুদ্ধে বার বার গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাকে বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করতেন। সরকার তার চিকিৎসার দিকে কোনো মনোযোগ দেয়নি।’ একই কথা বলেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আমিক জামেই। তিনি মুখতারের ম্তৃ্যুর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। একই দাবি কংগ্রেস নেতা সুরেন্দ্র রাজপুতেরও।
৬০ বছর বয়সী মুখতার উত্তরপ্রদেশের মৌ সদর বিধানসভার পাঁচবারের সাবেক বিধায়ক ছিলেন। ২০০৫ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবের জেলে বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৬০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন ছিল। তিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন আদালতে আটটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বান্দা জেলে বন্দি ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গত বছর যে ৬৬ জন গ্যাংস্টারের তালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতেও নাম ছিল মুখতারের। সম্প্রতি ৩৬ বছর পুরনো এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন মুখতার। সেই মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছিল আদালত। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com