বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দিয়ে বছর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফিরতে হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। শুরু হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বি-পক্ষীয় সিরিজ। চলতি সপ্তাহে শেষ হয়েছে সেই মিশনও। তবে বসে থাকার সুযোগ নেই টাইগারদের। ব্যস্ত সূচিতে ঠাঁসা আগামী। শুধু কি দ্বি-পক্ষীয় সিরিজ, আছে বৈষ্ণিক আসরও। জুনে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর যুক্তরাষ্ট্রে বসবে এবারের আসর। সেই আসরকে সামনে রেখে এখন থেকেই ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে, রাখতে হচ্ছে যথাযথ প্রস্তুতি। গত বৃহস্পরিবার মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের অ্যাকাডেমি ভবনেও চলে তেমনি এক প্রস্তুতি। যেখান থেকে ক্রিকেটাররা পরিপাটি হয়ে দু’টি বাসে পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে। অর্থাৎ বিশ্বকাপের ধকল কমাতে ভিসার কার্যক্রম আগেই সেরে ফেলছেন তারা।
ভিসার কার্যক্রম সেরেছেন ২৩ জন ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি দলের খেলোয়াড়দের বাইরে দেখা গেছে আফিফ হোসেন, নাসুম আহমেদ, খালেদ আহমেদ, জাকির হাসানকে। ছিলেন আলিস আল ইসলামও। তাছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে ছুটি নিয়ে দেশে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমানও ছিলেন ভিসা আবেদনকারীদের তালিকায়। মূলত ভিসার প্রক্রিয়া সারতেই তিনি জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় ফেরেন। এদিন ২৩ ক্রিকেটার ভিসার আবেদন করলেও আগে থেকে ভিসা আছে আরো পাঁচজনের।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এই ক্রিকেটারদের নিয়েই বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসও একই কথা জানান। তিনি বলেন, ‘ভিসা তো ২৭-৩০ জনের মতো করে রাখা হচ্ছে। এখান থেকে চূড়ান্ত ১৫ জানতে পারবেন পরে।’
ভিসা আবেদনকারীরা হলেন : নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ, তাইজুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন, শামীম হোসেন, শরীফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান, তানজিদ হাসান, তাসকিন আহমেদ, আলিস আল ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, হাসান মাহমুদ, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, খালেদ আহমেদ, জাকির হাসান।
যাদের ভিসা আছে :সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।