বছরের বছর অযতœ আর অবহেলায় ধংশের দ্বারপ্রান্তে ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার ঐতিহাসিক বাইশরশি জমিদার বাড়ী। একসময় যেখানে আলোঝলমল থাকতো সারাক্ষন, ছিল শান বাধানো পুকুরঘাট আর নান্দনিক ভবন। জমিদাররা যখন বসবাস করতো তখন বিভিন্ন পুজা অর্চনায় আলোঝলমলে অবস্থা বিরাজ করতো। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় জমিদারী প্রথা বাতিল হলে জমিদার বংশের সবাই এ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যায়। তখন থেকেই জমিদার বাড়িটি পরিত্যাক্ত হয়ে যায়। কালের বিবর্তনে আজ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই পরিত্যাক্ত বাড়িটি। বর্তমানে জমিদার বাড়িটি সরকারী সম্পত্তি। কিন্ত দেখাশুনার অভাবে আর অবহেলায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনে এর মুল্যবান লোহার খুটি দামী কাঠের জানালা দরজা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। ছাদের নীচে লোহা ও কাঠের আড়াগুলো চুরি হওয়ার কারনে ছাদের বিভিন্ন অংশ ধশে পড়েছে। এছাড়া ছাদের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে ফলে মারাতœক ঝুকির মধ্যে রয়েছে স্থাপনাগুলো। জমিদার বাড়িটির পাশেই রয়েছে সদরপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিস। ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, জমিদার বাড়ির ভবন সবই মারাতœক ঝুকিপুর্ন। আমি সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভূমি অফিসার সহ আমার উর্ধতন কর্তপক্ষকে বিষয়টি লিখিত ভাবে অবগত করেছি। তিনি আরো বলেন, এখানে নিয়ম হচ্ছে সরকারী ভাবে নিরাপত্তা প্রহরী বসানো, এছাড়া এখানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এলাকার অনেকেই ঘুরতে আসেন জমিদার বাড়িতে। আগতরা বেশির ভাগই বয়সে তরুন ও কিশোর। তারা না যেনে ভবনের ঝুকির কথা না বুঝে ছাদের বিভিন্ন স্থানে দলবেধে ঘুরাঘুরি করেন। এতে যেকোন সময় ছাদ ধশে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, হতে পারে মারাতœক প্রানহানী। স্থানীয় লোকজন মনে করেন যেকোন দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুতই স্থানীয় প্রশাসনের এইব্যাপারে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত। নুন্যতম ভবন গুলো ঝুকিপুর্ন ঘোষনা করে বিভিন্ন স্থানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া উচিত বলে অনেকে সচেতন মহল মনে করেন।