গাধার দুধ। আর তা বিকোচ্ছে গরুর দুধের দামের প্রায় ৭০ গুণ বেশি দামে! যার জেরে কপাল খুলে গেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের এক যুবকের। মাসে ২-৩ লাখ রুপি হাসতে হাসতে কামাচ্ছেন তিনি। অতীতে গাধার দুধের উপকারিতা নিয়ে নানা কথা শোনা যেত। কিন্তু আধুনিক সময়ে গাধার দুধের সেই অর্থে তেমন চাহিদা নেই। কিন্তু গুজরাটের যুবকটির দৌলতে তা ফের শিরোনামে।
ধীরেন সোলাঙ্কি চেয়েছিলেন সরকারি চাকরি করবেন। কিন্তু চাইলেই তো আর পাওয়া যায় না। অতএব ঝোঁকা বেসরকারি চাকরির দিকে। কিন্তু সেখানে মাইনে যা পাচ্ছিলেন তাতে পানি গরম করাই দুষ্কর। এর পরই মাথায় খেলে ব্যবসার ছক। কিন্তু কিসের ব্যবসা করা যায়? অনেক ভেবে ধীরেন ঠিক করে ফেলেন, তিনি গাধার দুধ বিক্রি করবেন। হঠাৎ এমন আইডিয়া কীভাবে এলো? সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি জানতাম দক্ষিণ ভারতে গাধার একটা চাহিদা আছে। আমি সেখানাকার কিছু লোকের সাথে যোগাযোগ করি। আর তাদের পরামর্শে নিজের গ্রামেই খুলে ফেলি গাধার গোয়াল। মাত্র ৮ মাস আগে। সেই সময় ২২ লাখ রুপি বিনিয়োগ করে ২০টি গাধা কিনেছিলাম।’
কিন্তু শুরুটা ভালো যায়নি। প্রথম পাঁচ মাস বিক্রিই নেই। আসলে গুজরাটে এর কোনোরকম বাজারই তৈরি হয়নি। অগত্যা নিজের ব্যবসাকে দক্ষিণ ভারতে পৌঁছে দেন ধীরেন। ব্যাস, আর ভাবতে হয়নি। এখন কর্নাটক ও কেরলে বিপুল পরিমাণে দুধ বেচেন ওই ব্যবসায়ী।
অনলাইনে গাধার দুধ বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার এমনকি ৭ হাজার রুপিতেও! এখন ৪২টি গাধার মালিক ধীরেন। ৩৮ লাখ রুপি বিনিয়োগ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার মুখের হাসি ক্রমেই চওড়া হচ্ছে। রাতারাতি বিপুল উপার্জন করে সকলকে চমকে দিয়েছেন তিনি। গাধার দুধের একটা জনপ্রিয়তা ছিল প্রাচীন পৃথিবীতে। শোনা যায়, রানি ক্লিওপেট্রা নাকি গাধার দুধে গোসল করেই চকচকে ত্বকের মালিক হয়েছিলেন। গ্রিক চিকিৎসকরা মনে করতেন বিষপ্রয়োগ বা যকৃতের অসুখ, সবাই ভালো করে দিতে পারে গাধার দুধ। কিন্তু আজকের দিনে কী গুরুত্ব গাধার দুধের? এক মার্কিন সংস্থার দাবি, এই দুধ অনেকটাই শিশুকে স্তন্যপানের উপকারিতা দেয়। ফলে কোনো শিশুর গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকলে এটা পান করতেই পারে। তাছাড়া চিকিৎসা ক্ষেত্রেও গাধার দুধের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন